গুরুচাঁদ-হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতেও এবার ছুটি ঘোষণা রাজ্য সরকারের। বনগাঁর গোপালনগরের জনসভায় একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুলে ধরেন রাজ্য সরকারের আমলে মতুয়াদের উন্নয়নের খতিয়ানও।
বুধবারের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি জানান, মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি। এর কোনও নির্দিষ্ট দিন নেই। বাংলা কিংবা ইংরাজি কোনও মতেই নেই। যেদিন মেলা হয় সেদিনই ওই তিথি। আপনারা আমাকে ৬ মাস আগে থেকে জানাবেন। মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করবে।’ কিছুটা স্মৃতি রোমন্থনের ভঙ্গিমায় তাঁর বারবার বনগাঁ আসার কথা সভামঞ্চ থেকে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মতুয়াদের এত মানুষ আছে তা আগে কেউ জানত না। আমার কাছে এটা নতুন জায়গা নয়। বনগাঁ, বাগদা, ঠাকুরনগর, হাবড়া, অশোকনগর, স্বরূপনগরে আমি বহুদিন ধরেই আসছি। বড়মা, শ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের আশ্রমে আমি বহুবার এসেছি। অনেকেই হয়তো জানেন না ৩০ বছর ধরে বড়মার চিকিৎসা আমিই করিয়েছি। বড়মাকে যখনই অসুস্থ হয়ে পড়তেন আমি বালুকে বলতাম, ওঁকে কলকাতায় নিয়ে এসো।’
মতুয়াদের সমস্ত দাবিপূরণ করেছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মতুয়াদের দাবিমতো হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়েছে।’ রাজ্য সরকারের পাঠ্যপুস্তকে যাতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনী পড়ানো হয় সে দাবিও ছিল। একটি বই তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে ওঁদের দু-চার কথা রয়েছে। যদি মনে করেন আরও জুড়বেন তো আমাদের জানাবেন।’ এ প্রসঙ্গে বিরোধী বিজেপিকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা বিজেপি পার্টি নয়। ভোটের সময় কথা দিলে কথা রাখি। ওঁরা ভোটের সময় মিথ্যে কথা বলে পালিয়ে যায়।’ বিধানসভা নির্বাচনের মুখে দাবিপূরণে খুশি মতুয়ারাও। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।