শাহিনবাগের আন্দোলনের সঙ্গে দিল্লীর কৃষক বিক্ষোভের মিল খুঁজে পেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। তিনি দাবি করলেন, ইতিহাস সাক্ষী যে এই ধরনের আন্দোলনগুলি সবসময়ই বহিরাগত শক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, নিরীহ মানুষকে কাজে লাগিয়ে এই ধরনের আন্দোলন থেকে ফায়দা তোলেন ‘হেরো’ রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মীরা।
মঙ্গলবারই ছিল কৃষকদের ডাকা ভারত বন্ধ। দেশের কিছু অঞ্চলে বন্ধের প্রভাব পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক মেজাজে দেখা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। তাঁর কথায়, ‘ওই হেরোরাই নিরীহ মানুষদের জন্য প্রতিবাদের দরজাটা খুলে দেয়। পরে তাঁদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দরজা আটকে দিয়ে দখল নিয়ে নেয় আন্দোলনের।’ শাহিনবাগের আন্দোলনের সময় মহিলাদের ভুল বোঝানো হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই প্রতিবাদীদের বোঝানো হয়েছিল সিএএ-র পরেই এনআরসি শুরু করবে মোদী সরকার। একইভাবে নয়া কৃষি আইনে তাঁদের জমি কেড়ে নেওয়া হবে বলেও প্রতিবাদীদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। এই ধরনের ভুল কথা কৃষকদের বোঝানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্ভবত এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহিনবাগ ও কৃষক আন্দোলনের মধ্যে এহেন মিল খুঁজে পেলেন। তবে দিল্লীর বিশ্বাসনগরের বিধায়ক ওপি শর্মার মুখেও শোনা গিয়েছে একই কথা। তিনি আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস এবং খালিস্তানিদের এই বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন। এদিকে, এদিন বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় নকভিকে। তিনি জানান, মোদী সরকার কৃষকদের কল্যাণে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ করেছে এই তিনটি আইনের মাধ্যমে।