কৃষক আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। একজোট হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকেরাও রুখে দাঁড়িয়েছেন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। এমন তুমুল অগ্নিগর্ভ সময়ে
অভিনব সিদ্ধান্ত নিলেন পাঞ্জাবের এক নবদম্পতি।
সবেমাত্র বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তবে আর পাঁচটা বিয়ের মতো সমারোহ করে, উপহার নিয়ে বিয়ে করতে চাননি তারা। চেয়েছিলেন, বিয়েটাও প্রতিবাদের স্মারক হয়ে থাক। উপহারের বদলে আমন্ত্রিতদের দেওয়া অনুদান সরাসরি পৌঁছে যাক আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে। নেটদুনিয়ায় এখন চর্চা চলছে পাঞ্জাবের এই বিশেষ বিবাহ অনু্ষ্ঠানকে নিয়েই।
চণ্ডীগড় থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাবের মুক্তাসরে বিবাহ বন্ধনে আবধ্য হতে চলা এই দুই পরিবারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তারা কোনো উপহার নেবেন না। পরিবর্তে অনুদান-বাক্সের ব্যবস্থা করেন। বিয়ের আসরে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করতে আসা অভ্যাগতেরা যদি অনুদান দিতে চান, তাহলে তাঁরা যেন সেই বাক্সে তা দান করেন। এক ঘোষককে ঘোষণা করতে দেখা যায় বিষয়টি নিয়ে, অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে। তিনি বলেন, কেউ যদি স্বেচ্ছায় কোন অনুদান দেন, তবে সেই টাকা চলে যাবে কৃষকদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী কেনার কাজে। যেমন বলা তেমন কাজ। রীতিমতো জমে যায় অনুদানের পাহাড়।
কেন্দ্রের প্রবর্তিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চরম উত্তপ্ত তামাম কৃষক সম্প্রদায়। বিরোধী আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজধানী দিল্লীতে। সরকারের সাথে পাঁচ দফা বৈঠকের পরেও নিজেদের দাবিদাওয়ায় অনড় জমায়েতে অংশ নেওয়া কৃষক সমাজ। তাঁরা তিনটি বিলই তড়িঘড়ি প্রত্যাহার করার দাবি জানান। এদিকে কেন্দ্র চায় সংশোধনী আনতে। এই ডামাডোলের মধ্যেই কাল ভারত বনধ ডেকেছিলেন কৃষকরা। অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে এই বনধে। কেন্দ্রের বিরোধীশক্তিগুলিও পক্ষ নিয়েছে এই কৃষকদের। উঠছে মুহুর্মুহু প্রতিবাদ। প্রাণ গেছে কিছু কৃষকেরও। যদিও সরকারপক্ষ থেকে এখনও কোনো সুরাহার আভাস মেলেনি।