নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে ভারত বনধ। রাজ্যে রাজ্যে চলছে কৃষকদের বিক্ষোভ কর্মসূচী। এমন দিনেই কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করার ঘটনা মনে করালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। কালো প্রোফাইল পিকচারে সাদা হরফে লিখলেন, আমাকে সাসপেন্ড করতে পার, চুপ করাতে পারবে না।
এদিন সকালে ওই টুইটে ডেরেক লিখেছেন, ‘সেপ্টেম্বরে বিরোধী দলের ৭ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। কেন? কারণ মোদী-শাহর প্রতিটা নিয়মভঙ্গ, আইনকে বুলডোজ করার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাই।’ এরপরেই ব্যঙ্গ করে কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডেরেক। লিখেছেন, ‘আমাদের শক্তিশালী করার জন্য ধন্যবাদ।’ তৃণমূল কৃষকদের সঙ্গে আছে জানিয়ে সাসপেন্ড হওয়ার দিন ডেরেক যেটা লিখেছিলেন সেটাও পোস্ট করেন এদিন। প্রোফাইল পিকচারেও রেখেছেন সেই উদ্ধৃতি, ‘আমাকে সাসপেন্ড করতে পার, চুপ করাতে পারবে না।’
প্রসঙ্গত, ওই দিন কৃষি সংস্কারের দুটি বিল পেশ হয় রাজ্যসভায়। বিরোধীদের দাবি ছিল, বিল পাঠানো হোক সিলেক্ট কমিটির কাছে। কিন্তু বিলের ব্যাপারে অর্ডিনান্স জারি করে ফেলা মোদী সরকার বাদল অধিবেশনেই বিল পাশ করাতে বদ্ধপরিকর। এর ফলে রবিবার রাজ্যসভায় তুমুল হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের ডেরেক দাবি করেন ভোটাভুটির। কিন্তু ধ্বনিভোটে বিল পাশ করানোর সময় উত্তেজনার পারদ আরও চড়ে। রুল বুক নিয়ে ওয়েলে নেমে আসেন বিরোধী সাংসদেরা। ডেরেক রুল বুক নিয়ে ছুটে যান ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশের কাছে। সেই সময় মার্শালরা আটকান ডেরেককে। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। রাজ্যসভা ১০ মিনিটের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয়। এরপর অধিবেশনের শুরুতেই ডেরেক সহ ৮ বিরোধী সাংসদকে অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করার ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তাঁরা হলেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন ও দোলা সেন, আপের সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের রাজু সাতাব, সইদ নাজির হুসেন ও রিপুন বোরা এবং সিপিআইএমের কে কে রাগেশ ও ইলামারান করিম।