কৃষক আন্দোলন নিয়ে দেশ জুড়ে উত্তাপ অব্যাহত। এদিন বনধের ডাক দিল ভারতের বিভিন্ন কৃষক সংগঠনগুলি। তিনটি নতুন কৃষিবিল প্রত্যাহারের দাবিতে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে অচলাবস্থা। তবে আজ সাধারণ মানুষের কোনও রকম সমস্যা তৈরি না করেই শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত হবে এই বনধ, জানিয়েছে ভারতীয় কিষাণ সংগঠন। কেউ এই বনধে যোগদান করতে না চাইলে তাঁকে জোর করা হবে না বলেও সাফ জানান কৃষকেরা। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত চলবে হরতাল।
এর মধ্যেই লখনউতে জারি হল ১৪৪ ধারা। মহারাষ্ট্রের বুলাদানা জেলায় আটকে রয়েছে চেন্নাই আমেদাবাদ এক্সপ্রেস। সমাজবাদী দলের নেতারা ট্রেন আটকে দিয়েছেন প্রয়াগরাজে। বিচ্ছিন্ন টানাপোড়েন চলছে বিহারেও। তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে রাজধানীর গতি প্রায় স্তব্ধ। বন্ধ সিঙ্ঘু সীমানা, মঙ্গেশ সীমানা, পিয়াউ মনিয়ারি সীমানা। এমনটাই ছবি বনধের সকালের।
প্রায় তিন মাসের উপর হয়ে গেল নয়া কৃষিবিল বাতিলের উদ্দ্যেশে গোটা দেশ জুড়েই টানটান উত্তেজনা। বিক্ষোভ প্রথমে পাঞ্জাবে সীমাবদ্ধ ছিল। তার পর পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় ‘দিল্লি চলো’ অভিযান চালায় কৃষকেরা। দিল্লি-হরিয়ানা-সিংঘু সীমান্তে কৃষকদের সঙ্গে একজোট হয়ে হাজার হাজার কৃষকেরা এই আন্দোলনে যোগদান করেন।
কৃষকদের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলকেই স্বাগত জানান হয়েছে। ইতিমধ্যে বিজেপি- বিরোধী দলগুলি কৃষকদের পাশে এসেও দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু বনধ চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক দলকে মঞ্চে না ওঠার বার্তা দিয়েছেন কৃষকেরা।
ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেছিলেন, তাঁদের দাবি কেন্দ্রীয় সরকারকে মেনে নিতেই হবে। মূল তিনটি আইন নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন তাঁরা। কারণ ওই আইনগুলি এ দেশের মানুষের খাদ্য-সুরক্ষা কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি কৃষক ও কৃষি ব্যবস্থাকে ধবংস করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি, ভারতীয় কিষাণ একতা সংগঠনের সভাপতি জগজিৎ সিং ডাললেওয়ালা, কৃষকদের শান্তি বজায় রেখে এবং বনধকে কার্যকর করতে কোনও লড়াইয়ে না নামার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।