দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচের মতোই আরও একবার একটা মিরাকল আশা করেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। তবে মিরাকল যে সবসময় না, মাঝেমধ্যেই হয়। এদিন, শেষ ৩ ওভারে যখন জয়ের জন্য ৪৪ রানের প্রয়োজন, ভারতীয় সমর্থকদের তখনও মনে হয়েছিল কোহলি-পাণ্ডিয়া জুটি তো আছে, ঠিক ম্যাচ বেরিয়ে যাবে। ঠিক চোখ ধাঁধানো একটা ইনিংস খেলে দেবেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। কিন্তু অ্যাডাম জ্যাম্পা পাণ্ডিয়ার উইকেট তুলে নিতেই দীর্ঘশ্বাস পড়ল ভারতীয় শিবিরে। আর সেই সঙ্গে অসম্পূর্ণ থেকে গেল ডনের দেশের মাটিতেই অজি বাহিনীকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বপ্ন।
এদিন যেহেতু নিয়মরক্ষার ম্যাচ ছিল, তাই প্রথম একাদশের অনেক ক্রিকেটারদেরই বিশ্রামে পাঠিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। বুমরাহ খেলেননি। জাদেজা বসে যাওয়ায় দলে জায়গা পান সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু এই তরুণ ব্রিগেডের বিরুদ্ধেও কষ্টার্জিত জয় আদায় করে নিতে হল অস্ট্রেলিয়াকে। গত ম্যাচে শিখর ধাওয়ানের পাশাপাশি হার্দিকের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভর করেই সিরিজ পকেটে পুরেছিল ভারত। তবে এদিন ২০ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি শিখর। তবে এদিন সিডনিতে অনবদ্য ইনিংস খেললেন ক্যাপ্টেন কোহলি। যদিও শেষমেশ তা কাজে এল না।
তাই ম্যাচ হেরে ওপেনারদেরই কাঠগড়ায় তুললেন কোহলি। বলেন, ওপেনিং জুটি যদি আরও খানিকটা রান করতে পারত, তাহলে হার্দিক যখন নামলেন, তখন আরও চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারতেন। একইসঙ্গে মেনে নেন, মাঝের কয়েকটা ওভারে খারাপ ব্যাটিংয়ের জন্যই রান রেট কমে গিয়েছিল। ওয়ানডে সিরিজ হারের পর টি-২০ জয়ী ভারত। এবার পালা টেস্টের। পাঁচদিনের ক্রিকেটের প্র্যাকটিস ম্যাচ ড্র হওয়ায় দুই দল একে অপরকে কড়া টক্কর দেবে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টের পরই ভারতে ফিরবেন বিরাট। তাই দেশে ফেরার আগে প্রথম টেস্টটি যে তিনি যেনতেন প্রকারণে জিততে চাইবেন, তা বলাই বাহুল্য।