তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লী সীমানা লাগোয়া এলাকায় আন্দোলনে নেমেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষকরা। দু’বার সরকার পক্ষের সঙ্গে কৃষকদের বৈঠকে কোনও রফা মেলেনি। আর তাই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আগামীকাল ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষকদের এই আন্দোলন ও বনধকে সমর্থন জানিয়েছে ১১টি রাজনৈতিক দল।
প্রসঙ্গত, কৃষি আইনের বিরোধিতায় এই মুহূর্তে হাজার হাজার কৃষক সিঙ্ঘু সীমান্ত ও টিকরি সীমান্তে জমায়েত করেছেন। এদিকে আগামীকাল, মঙ্গলবার কৃষকরা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। তার আগে বিক্ষোভস্থানে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাশাপাশি , কৃষকদের জন্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তাও খতিয়ে দেখন তিনি।
কৃষকদের বিক্ষোভ চলাকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেন্দ্রের তরফে জানিয়েছিলেন, সরকার নির্ধারিত স্থানে গিয়ে আন্দোলন করলে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র। কিন্তু তাঁর এই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় কৃষক সংগঠনগুলি। বিক্ষোভ জারি রাখে তাঁরা। এরপর সরকারের সঙ্গে কৃষকদের প্রতিনিধিদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
কৃষক সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনায় তারা তিনটি আইন-ই প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে৷ কিন্তু সরকার আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে আগামী মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তাঁদের আন্দোলন ও বনধকে সমর্থন জানিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।