২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেই রাজ্যে উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত ৯ বছর ধরে যার সুবিধা ভোগ করে আসছেন রাজ্যবাসী৷ একুশের ভোটের আগে তাঁর চালু করা ১১টি সামাজিক প্রকল্প থেকে একটি পরিবারও যাতে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না থাকে, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার টানা দু’মাস ধরে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচী নিয়ে হাজির হয়েছে।
১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেন ইতিমধ্যেই হিট। ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পেনের অন্তর্গত স্বাস্থ্যসাথী ফর্ম বিলিতে ভিড় হচ্ছে বিপুল। সেই ভিড় সামলাতে এ বার বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্যসাথী ফর্ম বিলির সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। ফলে, স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে ক্যাম্পের সংখ্যাও।
‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পেনে ইতিমধ্যেই প্রায় ২২ লক্ষ মানুষ অংশ নিয়েছেন। মানুষের ব্যাপক সাড়া দেখে আরও ক্যাম্প বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। সূত্রের খবর, গত ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া ‘ফিডব্যাক’ অনুযায়ীই এই সিদ্ধান্ত স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও নবান্ন থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। ‘প্রমিনেন্ট সাজেশনস’ নামে সেই নির্দেশিকায় বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ভিড় সামলাতে ‘কন্যাশ্রী ক্লাব’, ‘সেল্ফহেল্প গ্রুপ’কেও এই ক্যাম্পেনে যুক্ত করার নির্দেশ দিল নবান্ন। ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের চাহিদা যেহেতু সব চেয়ে বেশি তাই ভিড় সামালাতে এ বার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘স্বাস্থ্যসাথী’র ফর্ম বিলির নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব।
‘প্রমিনেন্ট সাজেশনস’ নামে সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সময়সূচী ইতিমধ্যেই প্রকাশিত তাতে কোনও বদল ঘটানো হবে না। তবে বহাল সূচীর সঙ্গেই জুড়ে নেওয়া হবে এই অতিরিক্ত পরিকাঠামোগত পরিষেবা। যে কোনও মূল্যে ভিড় এড়াতে হবে। দেখতে হবে, অনলাইন ফর্ম পূরণ করার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে যেন ন্যূনতম তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গত তিনদিনের অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, ‘খাদ্যসাথী’ এবং ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের চাহিদাই সব চেয়ে বেশি। ফলে যত বেশি সম্ভব ক্যাম্প থেকে এই দু’টি কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাম্পগুলি এমন জায়গায় করতে হবে যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ ভাল। এবং ক্যাম্পগুলিতে কোভিড-১৯ প্রোটোকল কঠোর ভাবে মানতে হবে।