মেদিনীপুরের জনসভার খোলা মঞ্চ থেকে আজ ছত্রধর মাহাতোর ‘ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট’ দিয়েই দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকলের সামনে তিনি জানিয়ে দিলেন, ছত্রধর মাহাতো আসলে তৃণমূল। তাঁকে মাওবাদী তকমা দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছিল।
এদিন মেদিনীপুরে মমতার জনসভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ছত্রধর। বক্তৃতার শুরুতেই মমতা বলেন, “এখানে ছত্রধর আছেন। ওঁকে আমি আজ আসতে বলেছিলাম। ২০০৮ সালে ওঁকে মাওবাদী তকমা দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছিল। কিন্তু ছত্রধর তখন অরিজিনালি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ছিলেন।”
২০০৮ সালে দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন গ্রেফতার করা হয়েছিল লালগড়ের আদিবাসী নেতা তথা পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির মাথা ছত্রধরকে। সেই সময়ে বামেদের অভিযোগ ছিল, তৃণমূল আর মাওবাদীরা এক হয়ে জঙ্গলমহলে খুনের রাজনীতি কায়েম করেছে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ছত্রধর। তারপর গত ২৩ জুলাই তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলে ছত্রধরকে রাজ্য কমিটির সদস্যও করা হয়েছে। অনেকের মতে, জঙ্গলমহলে লোকসভায় যে ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল, একুশের ভোটে এই ছত্রধরের উপরই সেখানে তৃণমূলের কামব্যাক নির্ভর করছে।
জুলাই মাসে শাসকদলে পদ পাওয়ার পরে দেখা যায় ছত্রধরের বিরুদ্ধে জোড়া ঘটনার তদন্ত শুরু করে এনআইএ। রাজধানী এক্সপ্রেসকে পণবন্দী করা এবং ঝাড়গ্রামের সিপিআইএম নেতা দিবাকর মাহাতোকে খুনের মামলায় নতুন করে ফাইল খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার এনআইএ অফিসারদের সামনে হাজিরাও দিয়েছেন ছত্রধর। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, একুশের আগে এই বক্তব্যের মাধ্যমে ছত্রধরকে দিদি জঙ্গলমহলের মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চাইলেন।