কেন্দ্রীয় কৃষক আইন নিয়ে চাপানউতোর চলছিলই। এই আইনের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকেরা একজোট হয়ে পথেও নেমেছেন। এবার কৃষকসর্বাত্মক ভারত বনধের চেহারা নিতে চলেছে আগামীকালের কৃষকদের ডাকা ধর্মঘট। সোমবার কৃষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মঙ্গলবারের এই ধর্মঘট হবে একেবারে শান্তিপূর্ণ। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত এই ধর্মঘট জারি থাকবে। পাশাপাশি, সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে এই ধর্মঘটকে শান্তিপূর্ণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই একাধিক দফায় সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু তাতেও কোনও বেরোয়নি কোনো সুরাহা। পাঁচ দফা বৈঠকের পরও রয়ে গিয়েছে ধোঁয়াশা। ফলে এই আন্দোলনের গতিবিধি এখনও অস্পষ্ট। ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আইন বাতিল করা হবে না। অন্যদিকে, কৃষকেরা জানিয়েছে, এই আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে আন্দোলন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রসংঘ, সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে এই পাশে সমর্থন করেছেন এই আন্দোলনকে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই কৃষক আন্দোলনের সমর্থন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। শুধু কানাডার প্রেসিডেন্ট নয়, রাষ্ট্রসংঘও এই আন্দোলনকে সরাসরি সমর্থন করেছে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র জানান, সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশেই যে কারও শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। এবং সরকারের উচিত এই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষোভ মেটানো ও সঠিক সমাধানের খোঁজ করা।
প্রসঙ্গত, ২০টি বিরোধী রাজনৈতিক দল সমর্থন করেছে এই ধর্মঘট। ধর্মঘট দেশজুড়ে হতে চলেছে এবং তা শান্তিপূর্ণ হতে চলেছে, এমনটাই অনুমেয়। উল্লেখ্য, এদিন সকালেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে গিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়াবার বার্তা দিয়েছেন।
আন্দোলনকে সমর্থন করে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, অকালি দল, আরজেডি, শিবসেনার মতো বিরোধী দলগুলি। এখন এটাই দেখার, কৃষকেরা কবে সুরাহার আলো ফিরে পান।