রাজ্যের মসনদে বসার পর থেকে নিজের দলকে তো বটেই, সরকার ও রাজ্যকেও বনধ্ রাজনীতি থেকে অনেকটাই বার করে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ক্ষমতা আসার পর থেকে তৃণমূল কোনওদিন কোনও বনধ্ ডাকেনি, কোনও বনধ্কে সমর্থনও করেনি। কিন্তু এবারে মোদী সরকারের কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের ডাকা বনধ্কে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে তৃণমূল এটাও জানিয়েছে যে, তাঁরা রাস্তায় নেমে বনধ্ পালন করবেন না। কিন্তু অনুচ্চারিত ভাবে থেকে গিয়েছে যা তা হল, সম্ভবত তৃণমূল রাস্তায় নেমে এই বনধ্-র বিরোধিতাও করবে না। আর এই কারনেই মনে করা হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার রাজ্যের জনজীবন থমকে যেতে পারে। এদিকে, এই বনধের সমর্থনে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বাম ও কংগ্রেসও।
তৃণমূল সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, এবার সম্ভবত এত কড়াকড়ির পথে হাঁটবে না দল বা সরকার। রাস্তায় নেমে যেমন তৃণমূল বনধ্ পালন করবে না তেমনি রাস্তায় নেমে বনধ্-র বিরোধিতাও করবে না। পুলিশ থাকবে রাস্তায় রাস্তায় তবে কাউকে জোর করে বনধ্ পালনে বাধ্য করা হলে বা জোর করে বনধ্-র বিরোধিতা করতে দেখলে তবেই তাঁরা পদক্ষেপ নেবেন। সরকারি বাস রাস্তায় থাকবে তবে বেসরকারি বাস মালিকদের রাস্তায় বাস নামাতে সম্ভবত জোর করা হবে না। এমনকি এবার বনধ্-র দিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অফিসে হাজিরার ক্ষেত্রেও কোনও সরকারি নির্দেশিকা জারি নাও হতে পারে।
তবে এই সবকিছুই এখন অনুমান সাপেক্ষ। এই বিষয়ে সম্ভবত আগামীকালই রাজ্য সরকারের তরফে যা জানানোর জানিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর বনধ্-র বিরোধিতায় খুব কড়াকড়ি এবার করা হবে না। আর তাই অনেকেই অনুমান করছেন মঙ্গলবার গোটা রাজ্যের জনজীবন রীতিমত স্তব্ধ হতে পারে কেন্দ্রের কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের ডাকা বনধ্-এ। এবার আগামী মঙ্গলবার কী ছবিই দেখা যাবে, সেই প্রশ্নটাই এখন ঘুরছে রাজ্য রাজনীতিতে।