সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু থেকে শুরু করে বলিউডের নেপোটিজম কিংবা বলিউড তারকাদের ড্রাগ যোগ— সাম্প্রতিক কালে প্রায় সমস্ত বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেই সেই বিতর্ককে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। এবার ফের বিতর্কের মুখে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। সম্প্রতি দেশজুড়ে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মন্তব্য করেন কঙ্গনা। আর তাতেই চটেছে শিখ সংগঠন ‘দিল্লী শিখ গুরুদুয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটি’ বা ডিএসজিএমসি। কঙ্গনাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে তাঁকে পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিস। বিক্ষোভের মুখে পড়ে অবশ্য আগেই নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মুছে দিয়েছেন কঙ্গনা। যদিও তাতে চিড়ে ভেজেনি। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর ক্রমেই চড়ছে।
দিল্লী শিখ গুরুদুয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রধান মঞ্জিন্দর সিং সিরসা লিখেছেন, ‘একজন কৃষকের মা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার প্রসঙ্গে কঙ্গনা রানাওয়াত বলেছিলেন তাঁকে ১০০ টাকায় ভাড়া নেওয়া যায়। এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে একটি আইনি নোটিস আমরা তাঁকে পাঠিয়েছি। তিনি টুইট করে বলতে চেয়েছেন কৃষকদের আন্দোলন দেশবিরোধী। কৃষক আন্দোলন নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য তাঁর কাছ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমার দাবি করছি আমরা।’ উল্লেখ্য, দিল্লীতে শিখদের সবথেকে বড় সংগঠন এই দিল্লী শিখ গুরুদুয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটি। ১৯৭১ সালে শিখ গুরুদুয়ারা আইনের আওতায় এই কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। শিখদের ভাল-মন্দের দিকে নজর রাখার দায়িত্ব রয়েছে এই কমিটির।
প্রসঙ্গত, দিল্লীর শাহিনবাগে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন বিকাশ বানো নামের এক বৃদ্ধা। গত মঙ্গলবার দিল্লীতে কৃষক আন্দোলনেও যোগ দিতে আসছিলেন তিনি। কিন্তু পথেই তাঁকে আটকে দেয় দিল্লী পুলিশ। কিন্তু কঙ্গনা অন্য এক বৃদ্ধার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে তাঁকে বিকাশ বানো বলে উল্লেখ করেন। তারপরে তিনি বলেন, ১০০ টাকা দিলেই আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। এই টুইটের পরে নিন্দার ঝড় ওঠে। পাঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাধিক তারকা কঙ্গনাকে একহাত নিয়েছেন। চাপের মুখে নিজের পোস্ট মুছে ফেলেন অভিনেত্রী। অন্যদিকে, পাঞ্জাবের আইনজীবী হরকম সিং কঙ্গনাকে একটি আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘আপনাকে জানাচ্ছি যে আন্দোলনে অংশ নেওয়া বৃদ্ধা নকল নন। তাঁর নাম মাহিন্দর কউর। তিনি ভাটিন্ডার বাসিন্দা। কৃষক লাভ সিং নাম্বারদারের স্ত্রী তিনি।’