উৎসবের মরসুম পার করতেই ফের দেশের পরিষেবা ক্ষেত্র মুখ থুবড়ে পড়ল। অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরের শেষে নামল উৎপাদন ক্ষেত্রের সূচকও। অর্থনীতিবিদদের মতে, উৎসবের মরসুমে পণ্য ও পরিষেবা উভয় ক্ষেত্রেই চাহিদা বিশাল বেড়েছিল। তাতে অর্থনীতিতে গতি এসেছিল। কিন্তু বর্তমানে ফের কিছুটা মন্দগতি। যদিও তাঁদের আশা, ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে খুব শীঘ্রই কোভিড পূর্ববর্তী অবস্থানে পৌঁছবে অর্থনীতি।
এপ্রিল থেকে জুন- প্রথম ত্রৈমাসিকে কোভিডের জন্য দেশের জিডিপি-তে রেকর্ড সঙ্কোচন হয়েছিল। নেমে গিয়েছিল মাইনাস ২৩.৯ শতাংশে। তবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সেখান থেকে অনেকটাই বেড়ে হয়েছিল মাইনাস ৭.৫ শতাংশে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু নতুন এই তথ্যে ফের কিছুটা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল।
আইএইচএস মার্কিট বিবৃতিতে বলেছে, “বেসরকারি ক্ষেত্রে উৎপাদন ও বিক্রি ভাল জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। তবে নভেম্বরে এসে কিছুটা গতি হারিয়েছে।” এইসময় সংস্থার যুক্তি, “ক্রেতারা এখনও কেনাকাটা করতে বাইরে বেরনোর বদলে ঘরবন্দী থাকতেই বেশি পছন্দ করছেন। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি।” তবে করোনা ভাইরাসের টিকা এলে দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তাঁরা।