অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত ওয়ানডে সিরিজে হেরে গেলেও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও ঝলসে উঠেছিল হার্দিক পাণ্ডিয়ার ব্যাট। ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল তাঁর অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংস। কিন্তু এমন আলোয় ভরা সময়েও হার্দিক ভোলেননি তাঁর জীবনের অন্ধকারতম অধ্যায়কে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আবারও তিনি জানিয়েছেন সেই কঠিন সময়ের দুরূহ অভিজ্ঞতার কথা।
২০১৯ সালের গোড়ায় ‘কফি উইথ করণ’ শোয়ে হার্দিকের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে। মহিলাদের সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যের পরে তাঁকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে আক্রমণ করা হয় নেটদুনিয়ায়। বাদ পড়তে হয়েছিল দল থেকেও। কিন্তু হার্দিক জানাচ্ছেন, তিনি প্রথম দিকে বুঝতেই পারেননি তাঁকে ঠিক কী বলা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সত্যিই জানতাম না ‘মিসোজিনিস্ট’ শব্দটার অর্থ কী। প্রথম প্রথম ভেবেছিলাম আমাকে নিয়ে মজা করতে এই শব্দটা ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু পরে আমার এক বন্ধু আমাকে শেখায়, এই শব্দের অর্থ যে ব্যক্তি নারীকে সম্মান করে না।’’
এই ব্যাখ্যা শুনেই অবাক হয়ে যান কোহলির দলের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘কী করে আমি মহিলাদের অসম্মান করতে পারি? মা, দিদি, বউদি, নাতাশা ওঁরা সবাই তো মহিলা। আমি ওদের ভালবাসি। আমার বাড়িতে মহিলারাই শেষ কথা। ওরা আছে বলেই তো আমরা আছি।’’ সেই সময়ের লড়াইটা কতটা কঠিন ছিল? হার্দিক জানাচ্ছেন, বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেছিলেন তিনি। প্রথম বার অনুভব করেছিলেন, নিজের জীবনের উপরে তাঁর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।