কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের পর দেশজুড়ে বইছে প্রতিবাদের ঢেউ। দিল্লী সীমান্তে হাজার হাজার শিখ কৃষকরা জমায়েত হয়েছেন এর প্রতিবাদ জানাতে। সমাধান সূত্র বেরোনোর কোনও সম্ভাবনা নেই। চাপানউতোর চলছে এখনও। মেলেনি যথার্থ সুরাহাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃষকদের সমর্থনে অনেকেই আওয়াজ তুলেছেন। চাষীভাইদের হয়ে উত্থিত সওয়ালে সামিল হয়েছেন সোনু সুদ, তাপসী পান্নু, হরভজন সিংহ, দিলজিৎ দোসঞ্জের মতো তারকারাও। এরই মধ্যে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ ধর্মেন্দ্র দেওলও একটি টুইট করেন। তাতে লেখেন, ‘সরকারের কাছে প্রার্থনা, কৃষক ভাইদের সমস্যার সমাধান দ্রুত বের করা হোক। দিল্লিতে করোনার কেস বাড়ছে, খুবই যন্ত্রণাদায়ক।’ এই টুইট হঠাৎই ১৩ ঘণ্টা পরে মুছে দেন ‘বীরু’।
৩রা ডিসেম্বর রাত ১০টা নাগাদ বলিউড তারকা ধর্মেন্দ্র দেওল কৃষকদের সমর্থনে টুইটটি করেছিলেন। কিন্তু ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে তা নিজেই ডিলিট করে দেন। বিষয়টি নজরে এলে ধর্মেন্দ্র’র এক টুইটার অনুগামী তড়িঘড়ি প্রশ্ন তোলেন। স্পষ্ট কোনও কারণ দেখাতে পারেননি বলিউডের ‘হি-ম্যান’। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়েই শুরু হয়েছে জলঘোলা। মহম্মদ জুবের নামক এক ব্যক্তি বিষয়টির উল্লেখ করেন ও ধমেন্দ্রকে ট্যাগ করে টুইট করেন। তিনি লেখেন, কোনও একটা কারণে ডিলিট করতে বাধ্য হয়েছেন ধর্মেন্দ্র। ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী হেমা মালিনী বর্তমানে বিজেপির সাংসদপদে নিযুক্ত। অভিনেতা নিজেও একসময় গেরুয়া শিবিরের সাংসদ ছিলেন। কাজেই দলের চাপে টুইট মুছতে বাধ্য হয়েছেন তিনি, এমনই প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত ছিল ওই অনুগামীর।
কিন্তু ধর্মেন্দ্র তাঁকে প্রত্যুত্তরে বলেন, ‘আপনাদের জন্যই আমি ডিলিট করেছি।’ এও লেখেন, ‘আপনাদের এমন মন্তব্যের জন্যই আমি টুইট মুছেছি। প্রাণভরে গালি দিন আমায়, আপনাদের খুশিতেই আমার খুশি। কৃষক ভাইদের জন্য দুঃখী। সরকারের দ্রুত সমাধান করা উচিত।’ মহম্মদ জুবের পুনরায় লেখেন, ‘পাজি, আমি কিন্তু আপনাকে গালি দিইনি। আপনি কৃষকদের সমর্থনে টুইট করেছেন দেখে ভাল লেগেছিল, কিন্তু সেটা আবার মুছে দিলেন। সেটাই বলছিলাম।’ যদিও জুবেরের এই কমেন্টের আর কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ধর্মেন্দ্র। তাহলে কি বিজেপি সাংসদ স্ত্রীয়ের কথাতেই টুইট ডিলিট করতে বাধ্য হলেন ধর্মেন্দ্র? উঠছে এমনই প্রশ্ন।