অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ফিঞ্চ-শর্ট যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল সহজেই ম্যাচ জিতে যাবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু জাদেজার কনকাশন পরিবর্ত হিসাবে নামা চাহালই ম্যাচে ফেরালেন দলকে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন ডেবিউ করা নটরাজন। দু’জনের তিনটি করে উইকেটের সৌজন্যে ক্যানবেরাতে অস্ট্রেলিয়াকে ১১ রানে হারালেন বিরাটরা।
এদিন ম্যাচের থেকেও হয়তো বেশি আলোচনা হবে জাদেজার পরিবর্তে চাহালের মাঠে নামা নিয়ে। অজি শিবিরের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট তাঁরা এই সিদ্ধান্তে খুশি নন। ব্যাট করার সময় মিচেল স্টার্কের বল লাগে জাদেজার হেলমেটে। যদিও তারপরেও খেলা চালিয়ে যান তিনি। বিরতির সময় ভারতীয় ম্যানেজমেন্ট আবেদন করে কনকাশন পরিবর্ত নেওয়ার। সেই আবেদন মেনে নেওয়া হয়। আর চাহালের বলেই ম্যাচে ফেরে ভারত। ফিঞ্চ ও স্মিথের দুটি গুরুত্বপূর্ন উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জোরালো ধাক্কা দেন তিনি। পরে ম্যাথু ওয়েডের উইকেটও নেন তিনি। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন চাহাল। তিনিই হন ম্যাচের সেরা।
এদিন ভারতের ১৬১ রানের জবাবে শুরুটা দুরন্ত করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন ফিঞ্চ। সঙ্গে ছিলেন ডার্সি শর্ট। ভারতের পেস বোলারদের ভালই মারছিলেন তাঁরা। এর মধ্যে চাহারের এক ওভারে জোড়া ক্যাচ ছাড়েন মনীশ পাণ্ডে ও বিরাট কোহলি। পাওয়ার প্লে-র পরে চাহাল বল করতে এসেই ছবিটা বদলে দেন। প্রথম ওভারেই ৩৫ রানের মাথায় ফিঞ্চের উইকেট নেন তিনি। দুরন্ত ক্যাচ ধরেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৯ রানে আউট হন স্মিথও। চাহালের বলে তাঁর ক্যাচও দারুণ ধরেন সঞ্জু স্যামসন। চাহালের সঙ্গে এই ম্যাচে চমক দিলেন বাঁ’হাতি নটরাজনও। প্রথম টি ২০ ম্যাচে খেলতে নেমে শুরুতেই ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান তিনি। ৩৪ রানের মাথায় শর্টকেও আউট করেন তিনি।
একবার উইকেট পড়তে থাকায় আর কোনও পার্টনারশিপ গড়ে ওঠেনি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। শেষদিকে হেনরিকসকে ৩০ রানে আউট করে অস্ট্রেলিয়ার কফিনে শেষ উইকেট পুঁতে দেন চাহার। ওয়াশিংটন সুন্দর উইকেট না পেলেও রান দেননি। শামি ছাড়া বাকি সব বোলার ভাল বল করেছেন এদিন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ১১ রানে ম্যাচ জেতে ভারত।