গত ৫৯ বছর ধরেই রাষ্ট্রসংঘের বিপজ্জনক মাদকের ম তালিকায় ছিল গাঁজা। এমনকী, চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার নিয়ে ছিল তীব্র আপত্তি। কিন্তু এবার গাঁজা ও চরসকে বিপজ্জনক মাদকের তালিকা থেকে সরানোর প্রস্তাবের পক্ষে ৫৩টি সদস্য দেশের মধ্যে সাড়া দিল ২৭টিই। যার অন্যতম ভারত।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু রাষ্ট্রসংঘের মাদক তালিকা নিয়ে ছ’টি প্রস্তাব দেয়। তার অন্যতম ছিল গাঁজা ও চরসকে বিপজ্জনক মাদকের তালিকা থেকে সরানোর। মার্চে সেই প্রস্তাব পেশ করা হয় রাষ্ট্রসংঘের মাদক বিষয়ক কমিশনের সামনে। কিন্তু সদস্য দেশগুলিকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা ভোটাভুটিতে আগ্রহ দেখায়নি। অবশেষে সেই ভোট অনুষ্ঠিত হল এবার। রাষ্ট্রসংঘের মাদক তালিকা থেকে গাঁজার বাদ পড়ার সুদূরপ্রসারী প্রভাব থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। হয়তো রাতারাতি তেমন পরিবর্তন চোখে পড়বে না। এখনও বহু দেশেই গাঁজা সংক্রান্ত কঠোর নিয়ম চালু রয়েছে। তবে আগামী দিনে রাষ্ট্রসংঘের সিদ্ধান্তের প্রভাব তাতে পড়বে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
গত বুধবার রাষ্ট্রসংঘের মাদক বিষয়ক কমিশনের ৬৩তম অধিবেশন বসেছিল। সেই সময়ই এই ভোট নেওয়া হয়েছে। ভারত ছাড়াও আমেরিকা ও ইউরোপের বহু দেশই সায় দেয় বিপজ্জনক মাদকের তালিকা থেকে গাঁজা ও চরসকে সরানোর ব্যাপারে। প্রস্তাবের বিরোধিতা করে পঁচিশটি দেশ। যাদের অন্যতম চিন, রাশিয়া ও পাকিস্তান। একমাত্র ইউক্রেনই কোনও দিকে মত দেয়নি।
কিন্তু ১৯৬১ সালের সিঙ্গল কনভেনশন অফ নারকোটিক ড্রাগসের চার নম্বর তালিকা থেকে কেন বাদ দেওয়া হল গাঁজা ও চরসকে? রাষ্ট্রসংঘের বক্তব্য, এই ধরনের মাদক অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেআইনি হলেও সাধারণভাবেই এদের ব্যবহার হয়। এবার এগুলিকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের রাস্তা খুলে দেওয়া হল। এই ভোটকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেও জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।