সিসিটিভির সামনেই জেরা করতে হবে সিবিআই, এনআইএ, ইডি-র মতো তদন্তকারী সংস্থাকে। জিজ্ঞাসাবাদের গোটা প্রক্রিয়া ক্যামেরাবন্দী রাখতে হবে। এমনকী, থাকতে হবে অডিও রেকর্ডিংও। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রমাণ হিসাবে ভিডিও-অডিও ১৮ মাস সংরক্ষণ করতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে কি না, কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা মাঝেমধ্যে তা পরীক্ষা করে দেখতে পারে। রাজ্যগুলি কীভাবে এই পরিকল্পনা কার্যকর করবে, ছ’সপ্তাহের মধে্য তা নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত। হেফাজতে অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে প্রতিটি জেলায় মানবাধিকার আদালত তৈরি করতে হবে। আগামী ২৭ জানুয়ারি ফের শুনানি করবে শীর্ষ আদালত। দু’বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পালন না করায় ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালত।
পাঞ্জাবের একটি ঘটনায় হেফাজতে অত্যাচার সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছে, সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে প্রবেশ-প্রস্থান পথ, লক আপ, করিডোর, লবি, রিসেপশন এলাকা, ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টরদের ঘর এবং শৌচাগারের বাইরেটাও। রেকর্ডিংয়ের সুবিধাযুক্ত সিসিটিভি লাগাতে হবে নার্কোটিক্স ব্যুরো, ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স এবং সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন—এর দপ্তরেও।