আজ বেলা ১১টা নাগাদ সর্বশক্তি নিয়ে শ্রীলঙ্কার উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় বুরেভি। তবে আগের ঘূর্ণিঝড় নিভারের মতো এটা বিধ্বংসী ছিল না। শ্রীলঙ্কায় তাণ্ডব চালানোর পর ঝড় ঘুরতে শুরু করেছে তামিলনাড়ুর দিকে। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস, আজ রাতে বা আগামীকাল সকালে তামিলনাড়ুর উপকূলে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। সে জন্য আগাম সতর্কতামূলক যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তৈরি রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু ও কেরালার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুই রাজ্যকেই যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। তিনি বলেছেন, “তামিলনাড়ু ও কেরালার মানুষের সুরক্ষায় সবরকমভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে সরকার। দক্ষিণের এই দুই রাজ্যে ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি দল উপস্থিত রয়েছে।”
সূত্রের খবর, আজ বেলা ১২টা নাগাদ তামিলনাড়ু থেকে আর মাত্র ৪০ কিমি দূরে ছিল ঘূর্ণিঝড়। সেই কারণে কেরালার চার জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ দিন সকালের বুলেটিনে জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কেরালার মান্নারের ৪০ কিমি পূর্বে অবস্থান করছে বুরেভি। এ দিনই দুপুরের মধ্যে গতি আরও বাড়িয়ে পামবানের কাছাকাছি মান্নার প্রণালী অতিক্রম করবে এই ঝড়। রাতের দিকে পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিমি গতিবেগ নিয়ে তামিলনাড়ুর সৈকতে আছড়ে পড়তে পারে। এরপর বুরেভি প্রবেশ করবে কেরালা উপকূলে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, কেরালায় মোতায়েন রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ৮টি দল। নিযুক্ত রয়েছে বায়ুসেনা ও নৌসেনাও। ঝড়ের তাণ্ডব থেকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যেই ১৭৫টি পরিবারের ৭০০ জন সদস্যকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি কেরালার বাম সরকারের তরফে প্রচুর পরিমাণে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। মোট ত্রাণ শিবিরের সংখ্যা প্রায় ২৫০০।