এর আগে সংশোধিত নাগরকিত্ব আইনের বিরোধিতায় হওয়া হিংসাত্মক ঘটনা থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে হয়ে যাওয়া সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। যে জারণে উত্তরপ্রদেশে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া-র একাধিক সদস্যকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। অনেক সদস্যদের নাম ও ছবি প্রকাশ্যে টাঙিয়ে তাদের থেকে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য অভিযুক্তও করা হয়। বৃহস্পতিবার ফের সেই সংগঠনের নামে দায়ের হওয়া একটি আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে নেমে দিল্লী-সহ দেশের আটটি রাজ্যের ২৬টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তল্লাশি চালানো হচ্ছে কেরলের কোচি, মাল্লাপুরম ও তিরুবন্তপুরম-সহ ৬টি জায়গা, তামিলনাড়ুতে চেন্নাই ও মাদুরাই-সহ পাঁচটি জায়গা, বাংলার কলকাতা ও মুর্শিদাবাদ, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু, দিল্লীর শাহিনবাগ, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ ও বারাবাঁকি, বিহারের দ্বারভাঙা ও পূর্ণিয়া, মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ ও রাজস্থানের জয়পুরে। এই জায়গাগুলির মধ্যে পিএফআইয়ের চেয়ারম্যান ওএমএ সালাম ও সর্বভারতীয় সম্পাদক নাসিরুদ্দিন এলামারামের অফিসও রয়েছে।
পিএফআইয়ের তরফে এই তল্লাশি অভিযানের তীব্র নিন্দা করে একে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জনবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় তাদের সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে পিএফআইয়ের চেয়ারম্যান ওএমএ সালাম টুইট করেন,’পিএফআই নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এটা আসলে বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা ও কৃষক আন্দোলন থেকে নজর ঘোরানোর একটা ঘৃণ্য প্রচেষ্টা। সাংবিধানিক সংস্থাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানোর একটা জলন্ত উদাহরণ। তবে এই ধরনের পদক্ষেপ আমাদের ন্যায়ের জন্য লড়াইকে রুখতে পারবে না।’