করোনার জেরে চলতি বছরে কালীপুজো, দীপাবলি ও ছটে বাজি পোড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট। এবার সেই ধারাই বজায় থাকবে বড়দিন ও ইংরেজি বর্ষবরণেও। এইসময় রাজধানী দিল্লী ও তার আশপাশের এলাকা তো বটেই, বায়ু দূষণের নিরিখে ‘খারাপ’ তালিকায় থাকা দেশের অন্য শহরগুলোতেও কোনও রকম বাজি বিক্রি ও ব্যবহার করা যাবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
বুধবার জাতীয় পরিবেশ আদালতের চেয়ারপার্সন, বিচারপতি আদর্শকুমার গোয়েলের নেতৃত্বাধীন মুখ্য বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশের ফলে কলকাতা, হাওড়া-সহ এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে বড়দিন ও ইংরেজি বর্ষবরণ বা তার প্রাক্কালে কোনও রকম বাজি ব্যবহার করা যাবে না। যে সব জায়গায় বায়ু দূষণের মাত্রা মাঝামাঝি বা ভালো, সেখানে রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেবল গ্রিন ক্র্যাকার বা পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক বা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে পরিবেশ আদালত জানিয়েছে।
সেই সঙ্গে পরিবেশ আদালত বলেছে, যাঁরা এই নির্দেশ না-মেনে বাজি বিক্রি বা ব্যবহার করবেন, তাঁদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। দূষণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি জেলাশাসকের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর আগে কালীপুজো-দীপাবলি-ছটে সব রকম বাজির ব্যবহার রাজ্যে বন্ধ করতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় অবশ্য গোটা রাজ্যেই নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত বাজি বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে হাইকোর্ট। এ দিন জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশের পর হাইকোর্ট কি বলে, সেটাই দেখার।