স্থগিত হয়ে গেল অক্সফোর্ড ইউনিয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা। বুধবার দুপুরে অক্সফোর্ড ইউনিয়নের তরফে ফোন করে একথা জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু কেন অনুষ্ঠান বাতিল করতে হচ্ছে তার জবাব মেলেনি। এরপরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে, কাদের ইশারায় অনুষ্ঠান স্থগিত করতে হল?
ভারতের প্রথম মহিলা রাজনীতিবিদ হিসেবে এদিন ঐতিহ্যবাহী অক্সফোর্ড ইউনিয়ন ডিবেটে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুপুরে অক্সফোর্ড ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট বিয়াট্রিস বারের সঙ্গে কথা হয় নবান্নের অফিসের। তারপরেই অনুষ্ঠান স্থগিতের কথা জানানো হয়। ইমেলে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব গৌতম সান্যালের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে বার লিখেছেন, ‘অনুষ্ঠান করতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের মতো বিভিন্ন দেশের বহু মানুষ অধীর আগ্রহে এই অনুষ্ঠানের দিকে তাকিয়েছিল। আমাদের অক্সফোর্ডের দর্শকরা অনেক প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে অনেক কিছুই নতুনত্বের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, পরিস্থিতির উপর কারও হাত নেই।’
হঠাৎ করে এমন অনুষ্ঠান বাতিল এবারই প্রথম নয়। দুবছর আগে স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিকাগোতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেবারও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চিঠি দিয়ে আচমকা সেই অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছিল।
সেই নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল। কারণ বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যেই শিকাগো যাওয়ার কথা ছিল মোদীর। প্রধানমন্ত্রীর সফরের গুরুত্ব বাড়াতেই মুখ্যমন্ত্রীর সফর বাতিল করা হয়েছিল বলে জল্পনা শুরু হয়। মমতা শিকাগোতে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলতে পারে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল এবারও। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে কন্ঠরোধ করা হল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। এক্ষেত্রেও কেন্দ্র কলকাঠি নেড়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।