কৃষক বিদ্রোহ ঘিরে ক্রমশই অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপির। হরিয়ানায় মনোহরলাল খট্টর সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নিলেন নির্দল বিধায়ক সোমবীর সাঙ্গোয়ান। কৃষক বিদ্রোহের আবহেই হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন তিনি। এর আগে, হরিয়ানায় পশুধন উন্নয়ন পর্ষদের (লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট বোর্ড) চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি।
হরিয়ানা বিধানসভার স্পিকারকে চিঠিতে সাঙ্গোয়ান লিখেছেন, যে সরকার কৃষকদের বিরুদ্ধে, সেই সরকারকে তিনি সমর্থন করতে পারবেন না। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাঙ্গোয়ান বলেছেন, ‘দাদরি থেকে ট্রাক্টরে করে দিল্লী সীমানায় গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে যোগ দেব।’ তাঁর কথায়, ‘তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আমি।’
অন্যদিকে, হরিয়ানায় বিজেপির জোটসঙ্গী জেজেপি কৃষি আইন নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপির ওপর। দিল্লী হরিয়ানা সীমান্তে যেভাবে কৃষকদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে, তা গোটা দেশকে ব্যাথিত করেছে। একথা বলছেন খোদ হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালার ভাই দিগ্বিজয় চৌটালা। কিছুটা নরম সুরে হলেও বিজেপিকে বিঁধেছেন দুষ্মন্তর বাবা তথা জেজেপির প্রধান অজয় চৌটালা। তিনি বলছেন, ‘সরকারকে আরও বৃহত্তর মানসিকতা নিয়ে ভাবতে হবে এবং কৃষকদের সমস্যার সমাধান করতে হবে।অন্নদাতারা রাস্তায় কষ্ট পাচ্ছেন। এবং কৃষকদের আশ্বস্ত করা যে তাঁদের ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে কেউ কোপ বসাবে না। প্রয়োজনে কৃষি আইনে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের কথা উল্লেখ করতে হবে।’ অজয় চৌটালার আশা, সরকার পক্ষের সঙ্গে কৃষকদের আলোচনায় ইতিবাচক সমাধান সূত্র বের হবে।
চৌটালারা অপেক্ষাকৃত নরম সুরে কথা বললেও দলের অন্য বিধায়করা রীতিমতো আক্রমনাত্মক। জেজেপি বিধায়ক যোগী রাম সিহাগ যেমন বলছেন, ‘সরকার কৃষকদের সঙ্গে এমন আচরণ করছেন, যেন ওঁরা সব সন্ত্রাসবাদী। এটা শুধু অন্যায় নয়। রীতিমতো অপরাধ।’ যোগী রাম সিহাগ কৃষকদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সরকারের দেওয়া বড় পদও প্রত্যাখ্যান করেছেন।