কেন্দ্রের সঙ্গে প্রথম পর্বের আলোচনায় রফাসুত্র মেলেনি। ৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। কিন্তু তার আগে আজ সকাল থেকেই বিক্ষোভের তীব্রতা যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিঙ্ঘু সীমান্তে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব থেকে আসা কৃষকরা নতুন করে দিল্লীতে প্রবেশ করার চেষ্টা না করলেও গাজিপুর-গাজিয়াবাদ সীমান্ত দিয়ে উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা রাজধানীতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তাঁদের পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতেও দেখা যায়। বাধ্য হয়ে দিল্লীতে ঢোকার পাঁচটি রাস্তা পুরোপুরি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। কোনওরকম যানবাহন চলাচলেরও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে, কৃষকদের বিক্ষোভের তীব্রতা যত বাড়ছে, তত বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। এতদিন পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল, করোনা পরিস্থিতিতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বাতিল করতে পারে সরকার। তা জুড়ে দেওয়া হতে পারে আগামী বাজেট অধিবেশনের সঙ্গে। সরকারি সূত্র দাবি করেছিল, বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করেই অধিবেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে কেন্দ্র। কিন্তু কৃষকদের বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়তেই উল্টো সুর শোনা যাচ্ছে কংগ্রেসের গলায়। কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদের অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব দিচ্ছে তারা। দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা পাঞ্জাবের সাংসদ মণীশ তেওয়ারি বলছেন, ‘কৃষকরা দিল্লীতে অবস্থান করছেন। অর্থনীতিতে সরকারিভাবে মন্দা চলছে। সরকারের যত দ্রুত সম্ভব লোকসভার অধিবেশন ডাকা উচিত।’
এদিকে, গতকাল এক বেফাঁস মন্তব্য করে বিরোধীদের রোষের মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিং। কৃষক বিক্ষোভ সম্পর্কে তাঁর দাবি ছিল, ‘দিল্লীর কৃষক বিক্ষোভে কৃষক সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। এদের দেখে কৃষক বলে মনে হয় না। এখানে বেশিরভাগই বিরোধী দলের সদস্য। এবং অনেকে আছে যারা কমিশন নিয়ে বিক্ষোভ করছে।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। আম আদমি পার্টি আবার ভি কে সিংকে প্রশ্ন করছে, তাহলে কি কৃষকদের লাঙল, বলদ সঙ্গে আনা উচিত ছিল?