‘উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাত নয়, এটা বাংলা। এখানে গুণ্ডামি চলবে না।’ মঙ্গলবার নবান্ন থেকে এভাবেই মোদঈ-শাহকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বিজেপির এই প্রচারকে ‘গারবেজ অফ লাইজ অফ এ পলিটিক্যাল পার্টি’ বলেও অভিহিত করেন তিনি।
রাজ্যের সমালোচনার জন্য বিজেপির পাশাপাশি, বামেদেরও একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বিজেপির লজ্জা বলে কিছুই নেই। এই রাজ্যে বিজেপির সবচেয়ে বড় দালাল সিপিএম। এতবড় নির্লজ্জ সিপিএম জ্যোতিবাবু-বুদ্ধবাবুও ছিলেন না। লজ্জা করছে এটা দেখতে। এই সিপিএম নেতারা রাজ্যের বদনাম করার জন্য কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য নিয়ে এসে বদনাম করছেন।’
বিজেপির আক্রমণকে ভোঁতা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন কেন্দ্র নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করছে। কোন কাজ করার আগে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে কখনই কিছু জিজ্ঞাসা করে না। আগে যোজনা কমিশন ছিল, এখন সেসব তুলে দিয়েছে। ফলে পকেট থেকে চিরকুট বের করে যা ইচ্ছে তাই বলছে।’ তিনি স্পষ্টই জানান, এই নির্বাচনের আগে অনেক বদনাম করবে, অনেককে জেলে পুরবে। মিথ্যে কথা বলবে। কিন্তু তাতে ভয় পেলে হবে না।’
নিজের আয় সম্পর্কে উত্তর দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ কিংবা বিধানসভা থেকে কোনও টাকা নিই না। গান গেয়ে, লিখে, এঁকে টাকা তুলি। তাই নিয়ে এত কথা। ইচ্ছে হলে লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন ও পেনশন নিতে পারতাম। কিন্তু তা নিই না। সরকারের একটা পয়সাও খরচ করি না। কিছু না জেনে বড় বড় কথা।’ পিএম কেয়ারস ফান্ড নিয়েও এদিন তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘যার ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, সে হয়েছে কিল মারার গোঁসাই। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না বাংলায়।’
মোদীর উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে সম্মান করি। সেই সম্মান বজায় রাখা আপনার কর্তব্য। প্রতিদিন বাংলার সমালোচনা করলে ফল ভাল হবে না।’ এর পাশাপাশি, কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘কৃষিবিরোধী বিল বাতিল করতে হবে। কৃষকদের বাঁচতে দিতে হবে। তা না হলে সারা দেশজুড়েই এই আন্দোলন হবে।’