আজ, মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে মমতা সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান। শহর-কলকাতাতেও চলছে এই অনুষ্ঠান। আর এখানে এমন এক সমনামীর ঘটনা ঘটল, যেখানে ‘জড়িত’ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী! ঘটনাচক্রে, আজ এই প্রকল্পের অনুষ্ঠানে ‘দুয়ারে সরকার’ পরিষেবার প্রথম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
হ্যাঁ। ঠিকই পড়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই! তাঁর হাতেই ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের ‘দুয়ারে সরকার’ অনুষ্ঠানে ‘স্বাস্থ্যসাথী স্মার্টকার্ড’ তুলে দিলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তবে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের এই ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল দলনেত্রী নন! ৬৮ বছরের এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (বয়সটাও প্রায় মুখ্যমন্ত্রীর বয়সেরই কাছাকাছি) হালতু পূর্বাচলের ৩ নম্বর বস্তির বাসিন্দা। তাঁর স্বামী সাইকেল রিকশা চালাতেন। দু’বছর আগে মারা গিয়েছেন। এখন খুবই কষ্টেসৃষ্টে সংসার চলে মমতার।
আজ সকাল ৮টা থেকে কালিদাস মিত্র স্কুলের সামনে লাইন দিয়েছিলেন ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের মমতা। তাঁর বয়সকে সম্মান দিয়ে অনেকেই একটু-একটু করে লাইন ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁকে। পাড়ার সকলের প্রিয় ‘মমতামাসি’ এক সময়ে তাই পৌঁছে গেলেন সবার আগে। নামও নথিভুক্ত হল সবার আগে। আর স্বভাবতই কার্ডও পেলেন সকলের আগে! পাড়া-প্রতিবেশীর সৌজন্যে শহরের প্রথম কার্ড যিনি পেলেন, তাঁর নামের সঙ্গে কাকতালীয় ভাবে হুবহু মিলে গেল প্রকল্পের রূপকার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও! নেমসেক? তাই হবে হয়ত…