গত শুক্রবারই মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন। তারপর থেকেই মনে করা হচ্ছিল, দল ত্যাগ করা শুধু সময়ের অপেক্ষা! কিন্তু যাকে নিয়ে সবার মনে এত কৌতূহল, তিনি কখনও দল ত্যাগের কথা বলেননি। এমনকি তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও একটি কথা বলেননি। তবে কি এই দিনটারই অপক্ষায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী? হ্যাঁ, আজ রাতে শুভেন্দু অধিকারী এবং অভিষেক-পিকের বৈঠক সেই বার্তাই দিচ্ছে। যেখানে তৃণমূলের তরফে সৌগত রায় বলেছেন, মধুরেণ সমাপয়েৎ, শুভেন্দু দলেই থাকছেন।
সূত্রের খবর, আজ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৈঠকে হাজির ছিলেন সৌগত রায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই বৈঠক হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে। শুভেন্দু নিজের সব সুবিধে অসুবিধের কথা বলেছেন। তৃণমূল সূত্র জানাচ্ছে, বৈঠক অত্যন্ত ইতিবাচক। সব পক্ষ একটা সাধারণ জায়গায় এসেছে, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। আপাতত পুরোনো সব সমস্যা মিটে গিয়েছে।
গত শুক্রবার শুভেন্দুর মন্ত্রীত্ব ত্যাগের পর তৃণমূলের তরফে যে অবস্থান নেওয়া হয়েছিল, তাতে বোঝা গিয়েছিল শুভেন্দুকে বরখাস্তর পথে কখনওই হাঁটবে না দল, বরং আলোচনার রাস্তা সর্বদাই খোলা থাকবে, কারণ তাঁর গুরুত্ব নিয়ে তৃণমূলের উচ্চতর নেতৃত্বের কোনও দ্বিধাই নেই। পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রামের মতো এলাকায় শুভেন্দু অধিকারী সংগঠনের ভিত তৈরি করেছেন। কাজেই তৃণমূল চাইছিল আলোচনা হোক, ক্রমাগত কথাবার্তাতে সমস্যার সমাধান হোক।
আর সেই রাস্তাতেই মিলল সমাধান সূত্র। বর্ষীয়াণ সাংসদ সৌগত রায় সংবাদমাধ্যমকে আজকের গোপন বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাবে বলছেন, “শুভেন্দু অধিকারী দলেই থাকছেন, ভবিষ্যতে দল আরও শক্তিশালী হবে। সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। সবাই মিলে একসঙ্গে লড়ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।” সৌগত রায়ের বিবৃতি অনুযায়ী, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী অচিরেই সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্তটা জানাবেন।