প্রেসিডেন্ট পদে জো বিডেন নির্বাচিত হতেই যেন নতুন ছোঁয়া পাচ্ছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ২০০ বছরের পুরনো গণতন্ত্রের ইতিহাস। সেখানে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন মহিলারা। স্থান করে নিচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন নীরা ট্যান্ডন। সবমিলিয়ে আমেরিকার ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে নারীশক্তির জয়গান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসের ‘অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট’-র প্রধান হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীরা ট্যান্ডন। বর্তমানে তিনি সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেসের চিফ এগজিকিউটিভ। উল্লেখ্য, এই সংগঠন কিছুটা বামপন্থা চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। উল্লেখ্য, নীরা ট্যান্ডন এক সময় হিলারি ক্লিন্টনেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকে মনোনীত করে প্রথম চমক দিয়েছিলেন বিডেন। ক্ষমতায় আসার পর মহিলায় ক্ষমতায়নের সেই ধারা বজায় রয়েছে। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন মহিলারা। আমেরিকায় কোষাধ্যক্ষ থেকে গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান পদে মনোনীত করেছেন মহিলাদের। এবার বাজেট চিফ পদেও বসতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা। শুধু তাই নয়। হোয়াইট হাউসে প্রেস সচিবের দায়িত্ব পাচ্ছেন এক নারী- জেনিফার সাকি। দীর্ঘ দিন ডেমোক্র্যাটদের মুখপাত্র ছিলেন তিনি। যোগাযোগ রক্ষাকারী দফতরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন কেট বেডিংফিল্ড। তিনি বিডেনের হয়ে প্রচারের দায়িত্ব সামলেছেন।
এদিকে আর্থিক পরামর্শদাতা পরিষদের দায়িত্বে আসতে চলেছেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ সিসিলিয়া রাউসকে। এখানেও নয়া মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। প্রথম অ্যাফ্রো-আমেরিকান হিসাবে রাউস আর্থিক পরামর্শদাতা পরিষদের দায়িত্বে পেতে চলেছেন। উল্লেখ্য, এই পরিষদের সদস্য সংখ্যা তিন। বাকি দুই পদে বসতে চলেছেন জেয়ার্ড বার্নস্টাইন এবং হিদার বাউশে।