চলতি বছরের ১১ জুলাই ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে দিল্লীর এক বিশেষ আদালত। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের হলফনামায় ভুয়ো ডিগ্রি পেশ করার অভিযোগ ওঠে। ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে ওই আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। অভিষেকের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছিলেন সার্থক চতুর্বেদী নামের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। তবে রোজ অ্যাভিনিউ জেলা আদালতের জেলা ও দায়রা বিচারক এই সংক্রান্ত সমস্ত আগের নির্দেশিকা খারিজ করে দেয়।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেছিলেন, “নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় নিজেকে এমবিএ বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। হলফনামায় অভিষেক জানান, একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৮-২০০৯ সালে এমবিএ ডিগ্রি নিয়ে পাশ করেছেন তিনি। অথচ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিই ২০১৪ সালে দিল্লী হাইকোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় জানিয়েছিল, তারা এই ধরনের কোনও ডিগ্রি তৃণমূল সাংসদকে দেননি।”
তবে শুধু তাই নয়, স্নাতক ডিগ্রি নিয়েও তৃণমূল সাংসদ তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাকারীর তরফে বলা হয়, নির্বাচনের প্রার্থীরা নিজেদের উচ্চশিক্ষিত প্রমাণ করে সাধারণ মানুষের কাছে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করেন। এই কারণেই, অভিষেক ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য দেন। কিন্তু রোজ অ্যাভিনিউ জেলা আদালতের জেলা ও দায়রা বিচারক এই সংক্রান্ত সমস্ত আগের নির্দেশিকা খারিজ করে দেয়। নোংরা রাজনীতি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে আদালত।