গত মাসে ভারতের অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরে চাহিদা বাড়া এবং জিএসটি আদায় সন্তোষজনক হওয়াকে অনেকেই অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। তবে ডোমেস্টিক রেটিং এজেন্সি ইকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, অর্থনীতির এই তেজি ভাব স্থায়ী নাও হতে পারে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও সতর্ক করে জানিয়ে দিলেন, ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও থাকে কি না, সে দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ, সারা পৃথিবীর মতো করোনা সংক্রমণ ফের মাথা তুলছে ভারতের কয়েকটি অংশে। ফলে অর্থনীতির সামনে ঝুঁকি এখনও বহাল। ঠিক যে কথা বলে আসছেন বহু বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদেরা।
গতকাল এক কর্মসূচীতে শক্তিকান্তের মন্তব্য, অতিমারির ধাক্কার পরে প্রত্যাশার তুলনায় দ্রুত হারে মাথা তুলছে ভারতের অর্থনীতি। তবে একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘উৎসবের মরসুমে তৈরি হওয়া চাহিদা স্থায়ী হয় কি না, সে দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত প্রত্যাশার প্রভাব বাজারে কতটা পড়ছে সেই হিসেবও কষতে হবে।… তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংক্রমণ মাথা তোলায় অর্থনীতির ঝুঁকি পুরোপুরি দূর হয়নি।’ শক্তিকান্তের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ওয়াকিবহাল মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, এই প্রথম মন্দার কবলে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির সামনে।