ব্যক্তি নয়, দল আগে। রাজ্যের মানুষের স্বার্থ আগে। বহু বছর ধরেই এই কথা সর্বসমক্ষে বলে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই দলবিরোধী কাজ করার অভিযোগে বহিষ্কৃত হলেন বাঁকুড়া যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ দাস। ওই নেতার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ঘরেই বিভিন্ন অভিযোগ উঠছিল বলে দাবি করেছেন বাঁকুড়া তৃণমূলের চেয়ারম্যান শুভাশিষ বটব্যাল।
বেশ কিছুদিন আগেই দলের সঙ্গে বিদ্যুৎবাবুর সম্পর্কে চিড় ধরে। এই পরিস্থিতিতে কালীপুজোর দিন পনেরো আগে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ এলাকায় তৃণমূলের তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ছিলেন যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ দাস, বাঁকুড়া তৃণমূলের সভাপতি শ্যামল সাঁতরা-সহ বহু নেতা। অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যানকে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করেন বিদ্যুৎ। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়।
তারপরই যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ দাসকে দলের তরফে শোকজ করা হয়। অভিযোগ, তার উত্তরও দেননি তিনি। এরপর কালীপুজোর উদ্বোধনে বাঁকুড়া গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বাঁকুড়ার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিদায়ী কাউন্সিলর অন্যান্য চক্রবর্তীর বাড়ির পুজো ছাড়া আরও একটি পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন বিদ্যুৎ। যার জেরে দলের সঙ্গে খানিকটা দূরত্ব বাড়ে ওই তৃণমূল নেতার। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার দলের তরফে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শুভাশিষ বটব্যাল বিদ্যুৎ দাসকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেন।