মোদী সরকারের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অল ইন্ডিয়া কিষান সঙ্ঘ কোঅর্ডিনেশন কমিটি, রাষ্ট্রীয় কিষান মহাসঙ্ঘ, ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের একাধিক শাখা মিলিত ভাবে সংযুক্ত কিষান মোর্চা গড়ে তুলেছে। এই দাবি নিয়েই পাঞ্জাবের কৃষকরা দিল্লী অভিযানের ডাক দিয়েছেন। যদিও ওই কৃষকদের দিল্লী অভিমুখে না এসে, ফিরে যেতে বলা হয় বৃহস্পতিবার। তার আগে বুধবার দিল্লী পুলিশের কমিশনার জানিয়ে দেন, জোর করে দিল্লীতে ঢোকার চেষ্টা হলে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু দিল্লী পুলিশের ধমকে-চমকে পিছু না হটে তাঁরা দিল্লী অভিমুখে রওনা দেওয়ায় পরিস্থিতি এখন সেদিকেই গড়াচ্ছে। পঞ্জাবের কৃষক সংগঠনগুলির মরিয়া মনোভাব দেখে গ্রেফতারির তোড়জোড় শুরু করল দিল্লী পুলিশ।
সূত্রের খবর, কমপক্ষে ৫০ হাজার কৃষক সামিল হয়েছেন দিল্লী অভিযানে। বিক্ষোভ চলাকালীন দুর্ঘটনায় মৃত্যুও ঘটেছে কৃষকের। দিল্লী পুলিশ কমিশনার গ্রেফতারির হুমকি দিলেও একসঙ্গে এত কৃষককে গ্রেফতার করে রাখবেন কোথায়? কোনও জেলে এত সংখ্যককে আটকে রাখা সম্ভব নয়। তাই আপ সরকারের শরণাপন্ন হয়েছে দিল্লী পুলিশ। দিল্লীর ৯টি স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী জেলে রূপ দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে দিল্লী পুলিশ। অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের কাছে এই মর্মে শুক্রবার অনুমতি চেয়ে দিল্লী পুলিশের তরফে আবেদন জানানো হয়। তবে পত্রপাঠ সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে দিল্লী সরকার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, দিল্লী সরকার জানিয়েছে, আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি ন্যায্য। তাই তাঁদের আটক রাখার জন্য কোনও ক্রীড়াঙ্গন বা অন্য কোনও রাজ্য সরকারি পরিকাঠামো ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।