শাসক না বিরোধী পক্ষ! সরকারি কর্মী তথা সার্ভিস ভোটাররা কোন দিকে ঝুঁকে রয়েছেন তা জানান দেয় পোস্টাল ব্যালট। অতীতেও একাধিক নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর ভাগ্য বদলেছে এই পোস্টাল ব্যালট! কিন্তু সঠিক সময়ে পোস্টাল ব্যালট হাতে পাওয়া এবং তাতে ছাপ দেওয়ার পর ফের সঠিক সময়ে তা যথাস্থানে পৌঁছনো নিয়ে বরাবরের ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভ বিক্ষোভ দমনে ব্যবস্থা নিল নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন থেকেই লাগু হতে চলেছে নতুন ব্যবস্থা। এবার স্পিড পোস্টের মাধ্যমে সঠিক সময়ে পোস্টাল ব্যালট হাতে পাবেন সার্ভিস ভোটাররা। এবং ভোট দেওয়ার পর স্পিড পোস্টের মাধ্যমেই তা দ্রুত পৌঁছে যাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে। এই গোটা প্রক্রিয়ার সমস্ত খরচ বহন করবে কমিশন। শুধু তাই নয়, রিটার্নিং অফিসারের কাছে পোস্টাল ব্যালট পৌঁছনো ইস্তক সর্বক্ষণ সেটি ট্র্যাক করার ব্যবস্থা থাকবে। গোটা বিষয়টি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকবে ডাক বিভাগের উপর। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
সাধারণত, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিটার্নিং অফিসারকে ব্যালট পেপার ছেপে একদিনের মধ্যে তা সংশ্লিষ্ট সার্ভিস ভোটারের কাছে পাঠিয়ে দিতে হয়। ব্যালট পেপার পাওয়ার পর ভোটারকে তাঁর পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে প্রত্যয়িত ঘোষণা করতে হয়। এরপর ব্যালট পেপার ও ওই ঘোষণাপত্র বন্ধ খামে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ফেরত পাঠাতে হয়। ভোট গণনার নির্ধারিত দিনের আগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে তার পৌঁছনোর নিয়ম।
কিন্তু অতীতে একাধিকবার সঠিক সময়ে পোস্টাল ব্যালট না মেলার অভিযোগ তুলেছেন সার্ভিস ভোটাররা। কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘কোনও ভোটার যাতে ভোটদানে বিরত না থাকেন সেটাই কমিশনের লক্ষ্য। বিশেষত যাঁরা ভোটের কাজে যুক্ত তাঁরাই যদি ভোট দানে ব্রাত্য হন তাহলে এই লক্ষ্য ব্যর্থ হয়। সেজন্যই এমন ব্যবস্থা।’