আগে থেকেই মন্দার কোপে ভুগছিল বাজার। এরই মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার সামিল করোনা। আর এই জোড়া ফলায় বেসামাল অর্থনীতি। তবে এই আবহেই মোদী সরকারের নয়া কৃষি আইন, শ্রম আইনের খোলনলচে বদল, আলু-পেঁয়াজ থেকে পেট্রোপণ্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতায় আজ, বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলো ধর্মঘট ডেকেছে। কিন্তু করোনা অতিমারীর মধ্যে এমনিতেই আর্থিক দুর্দশায় থাকা আমজনতাকে এই ধর্মঘট আরও সংকটে ফেলতে পারে, এমনটা ভেবেই উদ্বিগ্ন বহু অর্থনীতিবিদ।
তাঁদের বক্তব্য, লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন সংগঠিত ও অসংগঠিত, উভয় ক্ষেত্রেই কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। স্তব্ধ হয়েছিল বহু শিল্প ক্ষেত্র। কাজ হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। অনেক সংস্থা ঝাঁপ গুটিয়ে ফেলেছে। আনলক-পর্ব শুরু হওয়ায় ধীরে ধীরে অর্থনীতির চাকা ঘুরতে চলছে। এই পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট অর্থনীতির চাকাকে ফের স্তব্ধ করে দিতে পারে। যেমন শ্রমিক সংগঠনগুলোর ন্যায্য অধিকার ধর্মঘট— এই কথা মেনে নিয়েও অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলছেন, ‘এই অতিমারী পরিস্থিতিতে ধর্মঘট ডাকা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ হয়েছে। ধর্মঘট ডেকে ইউনিয়নগুলো তাদের অস্তিত্ব জাহির করতে চায়। এতে কারও লাভ হয় না। অতিমারীর মধ্যে যখন অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, তখন ধর্মঘট সাধারণ মানুষের ক্ষতি করবে।’