করোনার টিকা নিয়ে হতে পারে রাজনীতি আর কালোবাজারি। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন চিকিৎসক মহলের একটা বড় অংশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অতিমারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে টিকাকরণ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গও প্রস্তুত আছে। টিকাকরণের জন্য রাজ্যে প্রশিক্ষিত দক্ষ ব্যক্তি ও পরিকাঠামো প্রস্তুত। যত দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, কেন্দ্র ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে তত তাড়াতাড়িই কাজ শুরু করে দেবে বাংলা। যাতে সবাই দ্রুত ভ্যাকসিন পায়, তা নিশ্চিত করা হবে।”
চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, “আগামী চার-পাঁচ মাস আমাদের দেশে কোনও ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না। তারপর এদেশে ভ্যাকসিন মিলবে। কিন্তু জানুয়ারি থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে। সেই ভ্যাকসিন কালোবাজারি পথে যাতে এদেশে যাতে না ঢুকতে পারে, ভ্যাকসিন নিয়ে কালোবাজারি যাতে না হয়, জালিয়াতি যাতে না হয়, সেটা রাষ্ট্র এবং রাজ্যের দেখা দরকার।
প্রাক্তন স্বাস্থ্যকর্তা তথা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মলয় মন্ডল বলেন, “প্রত্যেকটি মানুষের জন্য ভ্যাকসিন সুনিশ্চিত করতে হবে। দায়িত্ব কেন্দ্র এবং রাজ্য দুজনেরই। রাজ্যের ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা পরিকাঠামো রয়েছে একদম গ্রামীণ লেভেলে মানুষকে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার। কেন্দ্রের সেই পরিকাঠামো নেই।