ভারত-চীনের মধ্যে লাদাখ ইস্যুতে হওয়া একাধিক আলোচনা যখন ফলপ্রসূ হচ্ছে, দু’দেশই শর্তসাপেক্ষে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে একমত হয়েছে, তখনই হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের একবার চীনের ওপর ডিজিটাল স্ট্রাইক করেছে মোদী সরকার। আর তার ফলে এবার আরও অবনতির পথে ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। সম্প্রতি নতুন করে আরও ৪৩টি চীনা অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর এই বিষয়টিই ভাল ভাবে নেয়নি বেজিং। ইতিমধ্যে সেদেশের সংবাদমাধ্যমে কড়া বিবৃতিও দিয়েছেন চীনের মুখপাত্র জি রং। পরিষ্কার জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে ভারতের বারংবার একই পদক্ষেপ মোটেই ভাল ভাবে নেননি তাঁরা।
এক সাক্ষাৎকারে চীনের মুখপাত্র বলেন, ‘বারংবার জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত যেভাবে চীনা অ্যাপগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে, তার তীব্র বিরোধিতা করছে বেজিং। আশা করি, ভারত নিজের ভুল শুধরে নেবে এবং সে দেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে সবাইকে সমান সুযোগ দেবে।’ এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, বেজিং কোনও সময় চায় না, চীনের কোনও সংস্থাই ব্যবসার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন ভাঙুক। এ ব্যাপারে সবসময় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে চীন। এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘আলোচনার মাধ্যমেই নিজেদের বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে সঠিক পথে চালিত করতে পারে দুই দেশ। এতে ভারত-চীন দু’দেশই লাভবান হবে।’
এদিকে, মঙ্গলবারই ৪৩টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। অভিযোগ, এই অ্যাপগুলি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকর। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারা মেনে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৯ জুন ও ২ সেপ্টেম্বরও বেশ কিছু অ্যাপকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেগুলিরও সিংহভাগই চীনা অ্যাপ। মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকর এমন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার বিষয়ে খবর মেলার পর দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, নিরাপত্তার জন্য এই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল।