আগামী বছর একুশেই বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যে। তার আগে ভোটমুখী বাংলার প্রতিটি প্রান্তে এখন রাজনীতির পারদ চড়ছে। ইতিমধ্যেই শক্ত হাতে দলের রাশ ধরেছেন তিনি। এবার প্রশাসনিক বৈঠকে আরও একবার পুরোদস্তুর প্রশাসকের ভূমিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোথাও ওভারহেড ট্যাঙ্কের কাজ অর্ধেক ছেড়ে পালানো কনট্রাক্টরকে ধরে আনার নির্দেশ, আবার কখনও রেলের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে দলের জন প্রতিনিধিদের লড়ে নেওয়ার পরামর্শ— বাঁকুড়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, মা-মাটি-মানুষের স্বার্থে কোনও আপোস করতে নারাজ তিনি।
প্রসঙ্গত, গত দুদিন ধরে বাঁকুড়া জেলায় রয়েছেন মমতা। কথা বলছেন বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে। অভাব-অভিযোগের খানাতল্লাশি চলছে সরেজমিনে। মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রশাসনকে আরও সচল করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নজর কেড়েছে মমতার জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথোপকথনের অংশ। মূলত মাটিতে ফিরে যেতে বলেছেন মমতা। মানুষের পাশে থাকাই যে জন প্রতিনিধির একমাত্র কাজ, বারবার তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকতে হবে। ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে হবে। তাঁর কথায়, এমএলএ, পঞ্চায়েত সদস্যরা অ্যাকটিভ হোন।
এদিন বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডির একটি প্রকল্প সংক্রান্ত প্রস্তাব মনে ধরায় তা সরাসরি অফিসারদের কাছে জমা করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার আরেক বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী তাঁকে রেলের একটি বস্তি উচ্ছেদ নিয়ে নালিশ জানান। বলেন, বুলডোজার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, যে কোনও সময় ঢুকে পড়বে। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে বলেন, এইভাবে উচ্ছেদ হবে না। আমি জোর করে জমি নিই না, এটাই আমার পলিসি। অলটারনেটিভ ব্যবস্থা না করে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। অরূপকে মমতার নির্দেশ, তোমরা ব্যপারটা নিয়ে লড়ে নাও, আইনি দিকটা কল্যাণ (বন্দ্যোপাধ্যায়) দেখবে। ওরকম লড়াই আমি অনেক করেছি।