গতকাল রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ ঝাড়খণ্ড থেকে মালদহে আসার পথে মানিকচকের কাছে গঙ্গানদীতে ডুবে যায় একটি বার্জ। প্রায় দশটি লরি ওই বার্জে ছিল। এই ঘটনায় অন্তত ২০ জন যাত্রী নিখোঁজ হয়ে যান। সোমবার রাতেই ১০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় বলে জানায় পুলিশ। বাকিদের এখনও খোঁজ মেলেনি। খোঁজ পাওয়া যায়নি লরিগুলিরও। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। নামানো হয়েছে ডুবুরিদের।
গতকাল রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ মানিকচকের গঙ্গার ঘাটের কাছেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই লঞ্চ ডুবির ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যেই এলাকার মানুষের ভিড় জমে যায় গঙ্গার ঘাটে। খবর পেয়ে পৌঁছয় মানিকচক থানার পুলিশ। এত বড় মাপের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মালদহ থেকে মানিকচকে ছুটে যান জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র এবং পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের অফিসার ও কর্মীরাও ঘটনাস্থলে যান।
গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত ১৫জন নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১২জন সাঁতার কেটে গঙ্গার বিভিন্ন পাড়ে উঠে এসেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ৩ জন এখনও নিখোঁজ। নিখোঁজ তিনজন হলেন বছর পঁয়ত্রিশের ময়না শেখ, বছর চল্লিশের মন্টু শেখ এবং বার্জের মেকানিক তারক প্রসাদ যাদব। শোনা যাচ্ছে, তাঁরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার ভোরে গতি পেয়েছে সেই উদ্ধারকাজ।
সোমবার রাতেই পুলিশ জানায়, প্রাথমিক ভাবে ১০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের অনেককেই মানিকচক এবং মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। মানিকচক ঘাটে অন্ধকার থাকায় জেনারেটরের সাহায্যে সার্চ লাইট জ্বালিয়ে চলে উদ্ধার কাজ। কিন্তু বাকিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাই মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
আজ সকাল থেকে মানিকচকের গঙ্গা নদীর ঘাটে ফের নতুন করে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নামানো হয়েছে ডুবুরিদের। বোটে করেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত লরিগুলির খোঁজ মেলেনি। সকাল থেকেই জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এখনও অনেকে নিখোঁজ থাকার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।