যেমন কথা তেমন কাজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই তৎপরতা শুরু করে দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। তার ফলে এবার ফের রাজ্যে নিয়োগ হতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মাফিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি সোমবার রাতে জারি করল রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন । বুধবার থেকেই শুরু হচ্ছে আবেদন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া। পুরো প্রক্রিয়াটিই হবে অনলাইনে। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে।
পর্ষদ বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও জানিয়েছে যে সমস্ত প্রার্থীরা চূড়ান্ত বর্ষের প্রশিক্ষণ হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন তারাও ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন এর নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদ জানিয়েছে ২০১৪ সালে যে সমস্ত প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে রয়েছেন তাদের নথি যাচাই করা হবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট www.wbbpe.org। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা।
মূলত কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য। সূত্রের খবর, মোট সাড়ে ২২ হাজারের মতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী আছে। যারা গত ২০১৪ সালে টেট পাশ করে বসে রয়েছেন। এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকেই প্রাথমিক শিক্ষকের সাড়ে ১৬ হাজার শূন্য পদ পূরণ করা হবে। তবে শুধু ডিএলএড প্রশিক্ষণ নয় যাদের বিএড প্রশিক্ষণ রয়েছে তারাও প্রাথমিকের এই নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই টেট উত্তীর্ণ হতে হবে।
সূত্রের খবর, আপাতত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দেখতে চাইছে এই নিয়োগের জন্য কত সংখ্যক ইচ্ছুক প্রার্থীর আবেদন জমা পড়ে। সাড়ে ২২ হাজার টেট উর্ত্তীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী থাকলেও সংখ্যাটা আরো বাড়বে বলেই মনে করছে পর্ষদ। তার কারণ এ রাজ্য ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য রাজ্য থেকেও আবেদন আসতে পারে। শুধু তাই নয় যেহেতু চূড়ান্ত বর্ষের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন সেক্ষেত্রে সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেই মত পর্ষদের। অন্যদিকে নতুন করে প্রাথমিকের টেট-ও খুব শীঘ্রই নেওয়া হতে পারে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর।