ডার্বিতে বরাবর আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক ব্যবহার করতে হবে। না হলে বিপর্যয় অনিবার্য। ফুটবলার জীবনে তো বটেই, এমনকি কোচিং জীবনে আরও কঠোর ভাবে এই দর্শন মেনে চলছেন প্রাক্তন লিভারপুল কিংবদন্তি ও বর্তমানে এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাওলার। তাই আইএসএলের ডার্বিতে এটিকে-মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে জা মাগোমা, অ্যান্টনি পিলকিংটন থেকে জেজে লালপেখলুয়া- সকলকে তাঁর পরামর্শ, আবেগ ও উত্তেজনা প্রশমণ করে ঠান্ডা মাথায় খেলো।
ফাওলারের প্রিয় বন্ধু অ্যান্টনি গ্র্যান্ট এখন লাল-হলুদের সহকারী কোচ। ফুটবল মাঠে তাঁরা ছিলেন একে অপরের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী। লিভারপুলের চিরশত্রু এভার্টনে খেলতেন অ্যান্টনি। অসংখ্য ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছেন। নানা অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। অ্যান্টনি বলছিলেন, ‘‘ডার্বি ঘিরে উত্তেজনা ও আবেগ থাকবেই। ম্যাচের কয়েক দিন আগে থেকেই পরিবেশ সম্পূর্ণ বদলে যায়। কিন্তু সেই আবেগে ফুটবলারেরা গা-ভাসালেই বিপদ।’’
আইএসএলের ডার্বির দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৎপরতা বাড়ছে এই দুই কোচের। অনুশীলনে, মধ্যাহ্নভোজে ও নৈশভোজের টেবিলে ফুটবলারদের বোঝাচ্ছেন, ডার্বির মতো উত্তেজক ম্যাচে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে জানা জিনিসও ভুল করবেন তাঁরা। বলছিলেন, ‘‘২৭ নভেম্বরের ডার্বি নিয়ে উন্মাদনা যে তুঙ্গে, তা বুঝতে পারছি। ফুটবলারদের বার বার বলা হচ্ছে, ডার্বিতে গোলের সুযোগ বেশি পাওয়া যাওয়া যাবে না। তাই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের ব্যবহার বেশি জরুরি।’’