রোহিত নিজে যতই দাবি করুন যে, তিনি হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন, এই রহস্য দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে। এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর জাতীয় অ্যাকাডেমিতে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন রোহিত। তাঁর সঙ্গে ইশান্ত শর্মাও রয়েছেন। বোর্ড জানিয়েছে, দু’জনেই টেস্ট দলে যোগ দেবেন যদি ফিট ঘোষিত হন।
ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরমহলে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, রোহিতদের অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়া এখনও একশো ভাগ নিশ্চিত নয়। বরং তা অনেকটাই নির্ভর করছে ধাপে-ধাপে তিনি কতটা ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন, তার উপরে। রোহিতকে প্রথমে জাতীয় অ্যাকাডেমিতে ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। সেখানে তাঁর পরীক্ষকের নাম রাহুল দ্রাবিড়। জাতীয় অ্যাকাডেমির প্রধান এখন দ্রাবিড়-ই। তাঁর সামনে, অ্যাকাডেমির ফিজিও, ট্রেনারদের কড়া নজরদারিতে রোহিতের ফিটনেস যাচাই করা হবে।
তবে দ্রাবিড় একা নিজের কোর্টে বল রাখেননি। জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান সুনীল জোশীকে হাজির রাখছেন রোহিতের ফিটনেস যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায়। ঘটনা হচ্ছে, এই জোশীর নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচক কমিটিই প্রথমে রোহিতকে অস্ট্রেলিয়াগামী তিনটি দলের কোনওটিতেই রাখেনি। এখন একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে জোশীদের রোহিতকে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট উড়ানে ওঠাতে গেলে একশো শতাংশ নিশ্চিত হতে হবে ফিটনেস নিয়ে।
ভারতীয় ক্রিকেটের প্রভাবশালী একজন কর্তা এদিন বললেন, ‘‘কোনও কারণে যদি অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলতে নেমে ফের হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় আক্রান্ত হয় রোহিত, তা হলে রাহুল দ্রাবিড় পরিচালিত জাতীয় অ্যাকাডেমি এবং নির্বাচক কমিটির প্রধানের দিকেই আঙুল উঠবে। দ্রাবিড়ও নিশ্চয়ই একশো শতাংশ নিশ্চিত হয়ে তবেই সবুজ সঙ্কেত দেবে।’’ তবে বিস্ময়কর ব্যাপার, আইপিএল শেষ হয়েছে ১০ নভেম্বর। ১৩ দিন পেরিয়ে গেল। সেখানে রোহিতকে ফিট ঘোষণা করতে এত সময়ই বা লাগছে কেন? ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে ধোঁয়াশা।