বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ে বছরের গোড়াতেই কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে আইনে ‘লাভ জেহাদ’-এর কোনও অস্তিত্ব নেই। কিন্তু তার পরেও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে লাভ জেহাদ নিয়ে ডামাডোল চলছে। এবং লাভ জেহাদের পিছনে বিদেশি মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। যদিও তার বাস্তব ভিত্তি মিলল না। গত দু’বছরের ১৪টি লাভ জেহাদ অভিযোগের তদন্ত নেমেছিল কানপুর পুলিশ। গঠিত হয়েছিল সিট। তাতেই উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তদন্তে প্রায় গুটিয়ে এনেছে পুলিশ। তাঁরা জানিয়েছে, ১৪টি লাভ জেহাদের ঘটনায় কোনও বিদেশি যোগ মেলেনি। মেলেনি ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছেলেগুলি মেয়েদের পূর্ব পরিচিত। খুব কম সংখ্যক মামলায় নিজেদের পরিচয় গোপন করেছে অভিযুক্তরা। তবে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২ সপ্তাহ আগে কানপুর পুলিশের বয়ানের সঙ্গে বর্তমানের বয়ানে পার্থক্য রয়েছে।
গত ২ বছরে কানপুরে ১৪টি লাভ জেহাদের অর্থাৎ ভিনধর্মের বিয়ের মামলা দায়ের হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় সেগুলি নিয়ে তদন্তে নামে কানপুর পুলিশ। সূত্রের খবর, অর্ধেকের বেশি মামলার তদন্তে শেষ হয়ে গিয়েছে। তাতে ষড়যন্ত্রের নামগন্ধ মেলেনি। তবে ১১টি মামলায় অপরাধের প্রমাণ মেলায় ১১ জনকে জেলেও পাঠানো হয়েছে। আর বাকি তিনটি মামলায় তরুণীদের বয়স ১৮ বছরের বেশি। ফলে তাঁরা নিজেদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিয়েছেন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সিটের অফিসার-ইন-চার্জ বিকাশ পান্ডে জানিয়েছিলেন ৭টি মামলায় কোনও অপরাধের লেশমাত্র মেলেনি। বাকি ৭টির তদন্তে চলেছে। তবে তাঁর সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক কানপুরের ইন্সপেক্টর জেনারেল মোহিত আগরওয়াল জানান, ‘১১টি মামলায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে নিজেদের নাম-পরিচয় গোপন করে নাবালিকাদের নিজেদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছে অভিযুক্তরা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ যদিও বিদেশি মদতের প্রমাণ মেলেনি একটি ক্ষেত্রেও।