শীত এখনো সেভাবে না পড়লেও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে হাজির হয়েছে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি। সাঁতরাগাছিতেও আগমন হয়েছে পরিযায়ীদের। ঘাটালের হরিসিংহপুর পার্ক লাগোয়া জলাশয়ে হাজির হয়েছে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি। সকাল-বিকেল তাদের কলরবে মুখরিত এলাকা। গত কয়েক বছর ধরেই শীতের শুরুতেই এ ভাবে আসছে তারা। তবে অন্য বছরের তুলনায় এ বার পাখিদের আনাগোনা অনেক বেশি বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে যানবাহন ও লোকের আনাগোনা কম হওয়ার কারণে পরিবেশ অনেকটা শান্ত। সেই কারণেই হয়তো পাখিদের আনাগোনা বেড়েছে। তবে তাদের কেউ যাতে বিরক্ত না করে সেদিকে নজর রেখেছেন বনকর্মীরা।
ঘাটাল পুরসভার পক্ষ থেকে জলাশয়ের পাশে বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘পাখিদের বিরক্ত করবেন না। ওদের শান্তিতে থাকতে দিন। পাখি দেখুন, আনন্দ উপভোগ করুন।’ ঘাটাল পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান বিভাসচন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘যাতে পাখিদের কেউ বিরক্ত না করে সেজন্য পুরসভার পক্ষ থেকে নজর রাখা হচ্ছে। শিকারিরা যাতে পাখি শিকার না করে, সে আবেদনও করা হচ্ছে পুরসভার পক্ষ থেকে। তা ছাড়া পাখিদের কেউ বিরক্ত করলে স্থানীয় লোকজনও বাধা দিচ্ছেন। এটা ভালো লক্ষণ।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হরিসিংহপুর জলাশয়ে প্রথম পরিযায়ীরা আসা শুরু করে বছর আটেক আগে। মাঝে ঝিলের কাছে একটি পলিটেকনিক কলেজ ভবনের নির্মাণের সময় তার শব্দে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই ঘাটাল ছেড়েছিল পরিযায়ীরা। দক্ষিণবঙ্গে পরিযায়ী পাখিদের অন্যতম পছন্দের ঠিকানা হাওড়ার সাঁতরাগাছির ঝিল। যানবাহন ও লোকজনের উৎপাতে পাখির আগমন কমেছে সেখানে। পাখি দেখতে আসা বা সুন্দর ছবি তোলার জন্য সাঁতরাগাছি ঝিলে আসা অনেক পাখিপ্রেমী এখন তাই ভিড় করছেন ঘাটালে।