সুজাপুরে বিস্ফোরণ ঘটার দিনই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছিল যে, এই বিস্ফোরণ নিছক একটি দুর্ঘটনা। প্লাস্টিক প্রসেসিং মেশিনে কাজ চলাকালীন বিস্ফোরণ হয়েছে। এবার একই কথা বলছে ফরেনসিক দলও। মালদার সুজাপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনও বিস্ফোরক সামগ্রীর নমুনা পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণস্থলে বিস্ফোরক পদার্থজাত কোনও নমুনা মেলেনি। তাই মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিস্ফোরণ হয়েছে। সুজাপুর কাণ্ডে নমুনা সংগ্রহের পর প্রাথমিকভাবে এমনটাই অনুমান ফরেনসিক দলের।
এদিন সুজাপুরে যে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণ হয়, দ্বিতীয় দফায় তা পরিদর্শনে আসে ফরেনসিক। ঘুরে দেখে বিস্ফোরণস্থল। সংগ্রহ করে নমুনা। তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফরেনসিক আধিকারিক চিত্রাক্ষ সরকার বলেন, ‘মেশিনের যান্ত্রিক ক্রটির জন্যই মালদার কালিয়াচকের সুজাপুরে বিস্ফোরণ হয়।’ উল্লেখ্য, এদিন ফরেনসিক টিম ধ্বংস হয়ে যাওয়া মেশিন পরীক্ষা করার সময় ফের মৃদু বিস্ফোরণ ঘটে। টিমের প্রতিনিধিরা মেশিনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ দিতেই ঘটে বিস্ফোরণ। ফরেনসিক সূত্রে খবর, বাকি প্লান্টগুলোতে কীভাবে কাজ চলে, সেই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখতে চায় তারা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে মালদার কালিয়াচকের সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই ৫ শ্রমিক প্রাণ হারান। পরে কলকাতায় নিয়ে আসার পথে সন্ধ্যায় মৃত্য়ু হয় কারাখানা মালিকের। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে শ্রমিকদের দেহ টুকরো টুকরো হয়ে যায়। দেহাংশ বেশ কিছু দূরেও ছিটকে যায় বলে খবর। বিস্ফোরণের পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য পুরমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ মতো হেলিকপ্টারে সুজাপুরে পৌঁছন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁদের হাতে তুলে দেন ক্ষতিপূরণের চেক। মৃতদের পরিজনদের ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।