অক্টোবরের শুরু থেকেই দেশে নামতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ। তবে গত ৩ দিন ধরে ফের তা ৪৫ হাজারের বেশিই থাকছে। সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুও ৫০০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ২৩২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৯০ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৯৭ জন।পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার হয়েছে ৪.৩৪ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে শুরু থেকেই শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭,৬৮,৬৯৫ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৬,৫১১ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১৬,৪২,৯১৬ জন। এবং অ্যাকটিভ কেস ৭৯,২৬৮। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কর্ণাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৬৯,৫৬১। মৃত ১১,৬২১ জন। সুস্থ ৮,৩৩,১৬৯ জন। অ্যাকটিভ কেস ২৪,৭৭১। অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৫৯,৯৩২। মৃত ৬৯২০। সুস্থ হয়েছেন ৮,৩৭,৬৩০ জন। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১৫,৩৮২।
এরপর তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭,৬৬,৬৭৭। মৃত্যু হয়েছে ১১,৫৬৮ জনের। সুস্থ ৭,৪১,৭০৫ জন। অ্যাকটিভ কেস ১৩,৪০৪। উত্তরপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,২১,৯৮৮। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৭৫০০ জনের। সুস্থ ৪,৯১,১৩১ জন। অ্যাকটিভ কেস ২৩,৩৫৭। দিল্লীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,১৭,২৩৮। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৮১৫৯ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৬৮,১৪৩ জন। রাজধানী শহরে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪০,৯৩৬।
যদিও ভারতে করোনা রোগীদের সুস্থতার হারটা বেশ স্বস্তিদায়ক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৮৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ১২৪ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেশের মোট আক্রান্তের সাড়ে ৯৩ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৭১৫ জন। গত কয়েক দিনে নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় তা কমেছে ৪ হাজার ৪৭। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৪৭ জন।