নিতান্তই সাদামাটা ফুটবল খেললেও জয় দিয়ে অভিযান শুরু হল এটিকে মোহন বাগানের। শুক্রবার কোচ কিবু ভিকুনার জন্মদিনে সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরতে কার্পণ্য করেননি কেরালা ব্লাস্টার্সের ফুটবলাররা। বল পজেশন, আক্রমণের সংখ্যা ও কর্নারের নিরিখে তারাই এগিয়ে। তবে ৬৬ মিনিটে বিপক্ষের রক্ষণের মুহূর্তের ভুলে মূল্যবান তিনটি পয়েন্ট তুলে নেয় সবুজ-মেরুন জার্সিধারীরা। পজিশন বদল করে মনবীর সিং ভিতরে ঢুকে শট নেন। কেরলের দুই ডিফেন্ডার তা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। সুযোগসন্ধানী রয় কৃষ্ণা বাঁ পায়ের শটে জাল কাঁপান (১-০)। সেই মুহূর্তে কেরলের গোলরক্ষক আলবিনো গোমস জায়গায় ছিলেন না।
১২ মিনিটে হ্যামস্ট্রিং পুল হয় সুসাইরাজের। তিনি মাঠ ছাড়ায় দলের ভারসাম্য কিছুটা হলেও নষ্ট হয়। হাবাসের হাতে একাধিক উইং হাফ থাকলেও তিনি নামান শুভাশিস বসুকে। এতে ছন্দ ব্যাহত হয় বাগানের। এদিন মাঝমাঠে দাপট দেখায় কেরল ব্লাস্টার্স। এটিকে মোহন বাগানের কার্ল ম্যাকহ্যাগ কিংবা জাভি হার্নান্ডেজকে চেনা ফর্মে দেখা যায়নি। পিছন থেকে কেরল ব্লাস্টার্সকে নেতৃত্ব দেন বাকারে কোনে। পিছিয়ে পড়ার পর দু’টি সুযোগ হাতছাড়া না করায় শূন্য হাতেই ফিরতে হল কিবু ভিকুনাকে।
তিন পয়েন্ট পেলেও এটিকে মোহন বাগানের খেলা কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় পৌঁছয়নি। বরং অল্প সময়ের মধ্যে কেরলকে এক সুতোয় বাঁধতে সফল কোচ কিবু ভিকুনা। পাসিং ফুটবল খেলে নাওরেম-সাহালরা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন হাবাস-ব্রিগেডের দিকে। ৩৭ মিনিটে বাঁদিক থেকে নাওরেম স্বভাবসুলভভাবে প্রীতম কোটালকে পরাস্ত করে চমৎকারভাবে ঢুকেছিলেন। তাঁর পাস থেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ঋত্বিক দাস।
প্রথম ম্যাচ থেকেই রোটেশন প্রথা শুরু করে দিলেন হাবাস। প্রথম একাদশে রাখেননি ডেভিড উইলিয়ামসকে। আগামী শুক্রবার বড় ম্যাচ। তাই হয়তো তিনি রয় কৃষ্ণা ও ডেভিডকে একসঙ্গে ব্যবহার করলেন না। পরিচিত পার্টনার না থাকায় ম্যাচের সেরা হলেও রয় কৃষ্ণাকে প্রত্যাশিত মানে পাওয়া যায়নি। প্রথম ২৫ মিনিটের মধ্যে তিনি দু’টি হাফ চান্স নষ্ট করেন। ৩২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে সামনে অনেকটা জায়গা পেয়ে গিয়েছিলেন রয়। কেরালা ব্লাস্টার্সের ডিফেন্ডাররা সেই সময় জায়গায় ছিলেন না। কিন্তু তাঁর শট ক্রসপিসের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২৬ মিনিটে কর্নার থেকে তৎপরতার সঙ্গে ব্যাক হেড দিয়েছিলেন কার্ল ম্যাকহ্যাগ। তিনি তাঁর প্রয়াস অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে আক্রমণের ঝাঁঝ থাকলেও এটিকে মোহন বাগান হঠাৎই ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেলেও জয়ের হাসি দিয়েই মাঠ ছাড়েন রয় কৃষ্ণারা।