আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি। তেমনই অন্যদিকে দলীয় কার্যালয় থেকে প্রতিদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের বক্তব্য রাখছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও। আজও তার অন্যথা হল না। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ফের বিজেপিকে ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়েই সুর চড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই সঙ্গে বাংলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ করলেন তিনি।
বিগত কয়েক মাস ধরেই বিজেপির তরফে বারবার বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করা হয়েছে। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এই ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের কথা বলেছেন। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরাসরি দিলীপকে চ্যালেঞ্জের সুরে ব্রাত্য বলেন, “সাহস থাকলে এখানে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে দেখান দিলীপবাবু।”
লোকসভায় ১৮টি আসন পেলেও বাংলার সাংসদদের কেন্দ্রে তেমন কোনও গুরুত্ত্ব নেই বলেই এদিন কটাক্ষ করেছেন ব্রাত্য। তাঁর যুক্তি, বাংলা থেকে কোনও পূর্ণ ক্যাবিনেট মন্ত্রী নেই কেন? অথচ ২০১১ সালে মমতা সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মতুয়া সঙ্ঘ থেকে একজন পূর্ণ ক্যাবিনেট মিনিস্টার হিসেবে শপথ নিয়েছেন। অন্যদিকে দলিতদের নিয়ে রাজনীতি করলেও মোদী মন্ত্রিসভায় তাঁদের ঠাঁই নেই বলেই কটাক্ষ করেছেন ব্রাত্য।
এদিন নিজের বক্তব্যে ব্রাত্য বলেন, বর্তমানে বহিরাগতরা বাংলায় এসে ঘোরাফেরা করছে। যারা রবীন্দ্রনাথ, বিরসা মুণ্ডাকে চেনে না। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার মধ্যে দিয়েই এই তাণ্ডবের পরম্পরা দেখিয়েছে তারা। যারা এসে তাণ্ডব করছে, তারা বাংলার কী বোঝে, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ব্রাত্যর সাফ জবাব, কেউ যদি এসে আমাদের বাঙালি মনীষীদের অপমান করেন বাঙালিরা তাদের ছেড়ে দেবে না। যে সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, তা ভয়ঙ্কর। এর জবাব বাংলার মানুষ দেবে বলে নিশ্চিত তিনি।