যেদিনই বিজেপি ঘোষণা করেছিল যে বিহারে সুশীল মোদীর জায়গায় উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে অন্য ২ জন নেতা নেত্রীকে বসানো হচ্ছে , সেদিনই শপথের পর মঞ্চ নেমেই নীতীশ বলেছিলেন, ‘সুশীল মোদীকে মিস করব’। সেদিন থেকেই কার্যত স্পষ্ট যে, চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপিকে নিয়ে বিজেপির আপাত ‘ঔদাসীন্য’এর পাল্টা জবাব নীতীশ কুমার দেবেন। আর সেই মর্মেই মূলত বিহার রাজনীতির জল গড়াচ্ছে।
উপমুখ্যমন্ত্রী পদ সুশীল মোদী খুইয়েছেন, দলের ভোট রাজনৈতিক অঙ্কে। এদিকে, সুশীল ও নীতীশ ঘনিষ্ঠতা গত কয়েক মাস ধরেই বেশ গাঢ় হয়েছে। আর এই ঘনিষ্ঠতাই বিজেপির চক্ষুশূল! এমনই দাবি বহু বিশ্লেষকের। সেই কারণেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সুশীলের অপসারণ করে বিজেপি। এদিকে, সেই সুশীলকেই বিহারের বিধান পরিষদের ‘যাচিকা সমিতি’র দায়িত্ব দিয়ে নীতীশ বড় বার্তা দিয়েছেন।
নীতীশ কুমারের ক্যাম্প বারবার চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপির বিরুদ্ধে বিজেপিকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানায়। কেন এলজেপি এনডিএর হাত ছেড়ে লড়েও, এনডিএ ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে জেডিইউ। গোটা বিষয়টি নিয়েমুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে বিজেপি। ফলে এহেন বিজেপিকে মাত দেওয়ার মতো একমাত্র অস্ত্র নীতীশের সামনে এখন সুশীল মোদী। যাঁকে বিজেপি পদ থেক সরানোর পর বিধান পরিষদে পদ দিয়ে কার্যত বিজেপিকে আপাত জবাব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন নীতীশ।
এদিকে, বিহারে বিজেপির পর্যবেক্ষক দেবেন্দ্র ফডনবীশ জানান, সুশীল মোদী পদ থেকে সরে গিয়েছেন বটে, তবে তাঁর মনে এই নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই। তাঁকে আরও বড় দায়িত্ব দিতে চলেছে দল। বিহারের রাজনীতিতে আপাতত ‘সুশীল মোদী’কে কড়ি করে জেডিইউ, বিজেপি নিজের মতো একের পর এক চাল চালছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।