বুধবার গভীর রাতে মহম্মদ আলি রোড থেকে উদ্ধার হল বস্তাবন্দী তরুণীর মৃতদেহ। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত ২.৩০টে নাগাদ মহম্মদ আলি রোডে একটি সাদা রঙের সিমেন্টের বস্তা সন্দেহজনকভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কাছে গিয়ে দেখা যায়, ওই বস্তার মধ্যে থেকে একটি মানবশরীরের পায়ের পাতা বেরিয়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষজন ও পুলিশ বস্তাটি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। বস্তাটি খুলে দেখা যায়, তার মধ্যে রয়েছে এক তরুণীর দেহ।
পরে জানা যায় মৃত মেয়েটির নাম সাবা খাতুন, বয়স ২০। সে বেঙ্গলি শাহ ওয়ারসি লেনের বাসিন্দা শেখ দুলারার কন্যা। ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তার গলায় ক্ষত রয়েছে। মেয়েটির বাঁ হাতের কনুইয়েও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, দিদার কাছে ওয়াটগঞ্জে থাকত সাবা খাতুন। তবে গত দু’মাস ধরে ওয়ারিশ লেনে রেশমা নামে এক বন্ধুর বাড়িতে পেইং গেস্ট হিসেবে থাকছিল সে। ঘটনার আগের দিন, অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। তার পরই সে বেরিয়ে যায়। পরে তাঁর মোবাইল ফোন স্যুইচ অফ থাকায় বাড়ির লোকেরা তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি।
কে বা কারা তাকে খুন করে বস্তায় পুড়ে ফেলে দিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনের কারণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রেমঘটিত কোনও কারণে তাঁকে খুন হতে হয়েছে, নাকি অন্য কোনও কারণে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ অনুমান করছে, সম্পর্কজনিত কারণে ওই খুন হয়ে থাকতে পারে।