নোটিসের কাগজে স্পষ্টই লেখা, ‘এক্সটেনশন সম্ভব নয় ৷ তাই বাড়ি ছাড়ুন !’ হঠাৎ এরকম এক নোটিস পাওয়ায় রীতিমতো বিপাকেই পড়েছেন ৮৩ বছরের প্রবাদপ্রতীম কত্থক শিল্পী বিরজু মহারাজ৷ তবে তিনি একা নন। বিরজু মহারাজ-সহ ২৭ জন প্রবাদপ্রতীম শিল্পীকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস পাঠাল মোদী সরকার৷ তালিকায় রয়েছে, চিত্রশিল্পী যতীন দাস, সন্তুরবাদক ভজন সোপারি, মোহিনীঅট্টম শিল্পী ভারতী শিবাজীর মতো নাম ৷ নোটিসে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে ৷
কেন্দ্রীয় সরকারে ‘এমিনেন্ট আর্টিস্ট’-এর কোটায় প্রবাদপ্রতীম শিল্পীরা দিল্লীর বিভিন্ন জায়গায় মাসিক খুব অল্প টাকায় যাকে বলে ‘লাইসেন্স ফি’-এর বিনিময়ে বাড়ি পেয়েছিলেন৷ কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই শিল্পীদের বাড়িতে থাকার মেয়াদ শেষ এবং নতুন করে এক্সটেনশন হবে না৷
নোটিস হাতে পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছেন বিরজু মহারাজ৷ সংবাদমাধ্যমকে বিরজু মহারাজ জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে অসুবিধার কথা জানিয়েছি৷ আশা করি তিনি সব দিক বিচার করে সিদ্ধান্ত নেবেন৷’
অন্যদিকে, চিত্রশিল্পী যতীন দাস জানিয়েছেন ‘আমার এটা ছাড়া অন্য কোনও বাড়ি নেই৷ দুম করে যাব কোথায়? এতদিন ধরে এখানে আছি৷ এই বাড়ির প্রত্যেকটা ইঁটের সঙ্গে আমি যুক্ত৷ এই করোনা আবহে, আমাদের তো বিপদে ফেলে দেওয়া হলো৷’
কুচিপুরি নৃত্যশিল্পী বনশ্রী রাও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘নোটিসের বক্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে, আমরা যেন বাড়ি দখল করেছি৷ এদিকে ২০১৪ সালে সরকারের পক্ষ থেকে পুরনো বকেয়া হিসেবে গত চার বছরের ৯ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। দফায় দফায় তা দিয়েও দিয়েছি। তারপরেও এরকম নোটিস!’